চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘তামিম ছাড়া কেউই ভালো খেলতে পারিনি’

সিরিজ হেরে হতাশ মাহমুদউল্লাহ

স্পোর্টস ডেস্ক

২৬ জানুয়ারি, ২০২০ | ৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের জন্য টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। আর পাকিস্তানের সামনে সুযোগ সিরিজ নিশ্চিত করার। এ মিশনে শেষ হাসি হেসেছে স্বাগতিক পাকিস্তানই। বাংলাদেশকে পুরো ম্যাচে কোনো রকমের সুযোগ না দিয়ে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে সিরিজ জয়। হার বিবেচনায় প্রথম ম্যাচের তুলনায় এটা আরো বেশি লজ্জাজনক। ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলপতি মাহমুদউল্লাহ বলেন, ম্যাচ বা সিরিজ কোনোটাই হারতে প্রস্তুত ছিলাম না। এই হারে আমরা হতাশ। আমরা ম্যাচ জয়ের মতো যথেষ্ট রান করতে পারিনি। এই উইকেটে ১৫০-১৬০ বা তার বেশি করা উচিত ছিল।

প্রথম ম্যাচে তাও বল হাতে খানিক লড়াই করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে খেলতে হয়েছিল ১৯.৩ ওভার পর্যন্ত, হারিয়েছিল ৫টি উইকেট। কিন্তু গতকাল পাত্তাই পায়নি টাইগাররা। বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটে চড়ে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে, ২০ বল হাতে রেখেই পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে। একইসঙ্গে সিরিজও নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। টাইগার অধিনায়ক খোলামেলা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণেই মেলেনি জয়। আসলেও তাই। ব্যাট হাতে কেবলমাত্র তামিম ইকবাল খেলেছেন ৫৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেছেন আফিফ হোসেন। দুই অঙ্ক ছোঁয়া অন্য ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান। অবশ্য তামিম ফিফটি হাঁকালেও তার ইনিংসের স্ট্রাইকরেট ও খেলার ধরন নিয়ে সন্তুষ্টি আসার সুযোগ খুবই কম। কেননা ইনিংস সূচনা করতে নেমে ১৮ ওভার পর্যন্ত খেললেও তিনি ৬৫ রানের বেশি করতে পারেননি। অথচ মোকাবেলা করেছেন ৫৩টি বল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেকোনো ওপেনার এত বেশি বল খেললে তার কাছে প্রত্যাশাটাও বেশি থাকে দলের। তবু মন্দের ভালো হিসেবে তামিমের ফিফটিই বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিল ১৩৬ রানের সংগ্রহ।

টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের ইনিংসের শেষটা ভালো করতে পারিনি। এখনই নিশ্চিত বলতে পারছি না যে শেষ ম্যাচে আমরা কোন পরিকল্পনা নিয়ে খেলবো। হয়তো বেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে আমাদের শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং ম্যাচটাও জিততে হবে।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট