চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

দিনবদলের পরিক্রমায় হারিয়েছে রাত জেগে পালা গানের আসর

জাহেদুল আলম হ রাউজান

৫ জানুয়ারি, ২০২০ | ২:৪৯ পূর্বাহ্ণ

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদের পালা গান, কবি গান, সারি-জারিসহ পালাকীর্তন। আগের মতো রাত জেগে গ্রামীণ মানুষের একমাত্র মনোমুগ্ধকর মনের খোরাক অনেকটা বিলুপ্তপ্রায়। বিশেষ করে শীতকালে একসময় উপজেলার গ্রামে গ্রামে বসতো পালা গানের আসর। তবে কোথাও কোথাও এখনও মাঝে মাঝে হয় এমন জনপ্রিয় গানের মেলা কিংবা গানের আসর। আর সেসব আসরে উপস্থিত হয়ে মন জুড়ায় অনেক নারী-পুরুষ। তবে এ পালা গান কিংবা জারি-সারি গান নতুন প্রজন্মের কাছেই প্রায় অপরিচিত। এ অবস্থায় রাউজানে শীতোষ্ণ পরিবেশে হারিয়ে যাওয়া কবি গানের আসর হয়েছে কয়েকটি ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে। গত ২৮ নভেম্বর রাতে ঢেউয়াপাড়া গ্রামের প্রবীণ শিক্ষাবিদ রাখাল চন্দ্র দে মাস্টারের আয়োজনে আসার বসে পালা গানের। পালা গানে পক্ষে বিপক্ষে গানের আসরে অংশ নেন শ্যামল শীল ও বিষ্ণুপদ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক রাখান চন্দ্র দে’র নাতির অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠান উপলক্ষে। দীর্ঘদিন পর পালা গানের আসরে উপস্থিত হয় শতশত শ্রোতা। উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ার সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা দিপলু দে, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফসহ বয়স্ক এবং যুবক শ্রেণির বহু নারী-পুরুষ। এদিকে গত ২৩ নভেম্বর রাউজান রাসবিহারী ধামে অনুষ্ঠিত হয় আরেকটি পালা গানের আসর। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা উপলক্ষে পালা গানের আয়োজন করেন তারা। সেখানেও মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
রাউজান জগন্নাথ সেবাশ্রম কমিটির সাধারণ সম্পাদক টিপু কান্তি দে জানান, হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী কবি গান, পাল্টা গান নতুন প্রজন্মের জন্য এখন দুর্লভ। ফিরিয়ে আনতে হবে পল্ল­ীগীতির সুর-ছন্দ। তাহলে বাঙালির প্রিয় ঐতিহ্যবাহী মঞ্চ অনুষ্ঠানগুলো ফিরে আসবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট