চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মেহেরসাগর কলা চাষ লোহাগাড়ায় স্বাবলম্বী আমানে আলম

মোহাম্মদ ইলিয়াছ হ লোহাগাড়া

২২ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ায় মেহেরসাগর কলার চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আমানে আলম। উপজেলা সদরের দরবেশহাটস্থ হাজী পাড়ার মৃত হাজী ঠা-া মিয়ার পুত্র আমানে আলম বাড়ির পাশে বছরখানেক আগে নিজ জমিতে কলার চাষ করেন। প্রথম দফায় প্রচুর কলা ও কলার চারা বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন তিনি।

জানা যায়, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের শেষের দিকে তিনি প্রায় ৩ একর জমিতে মেহেরসাগর কলার চাষ শুরু করেন। জমিতে ৩ হাজার কলার চারা রোপণ করেন। শুরুতেই চারা ক্রয়, জমি তৈরি ও কলার বাগান পরিচর্যা করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। প্রথমবারে প্রতিটি গাছে আশানুরূপ কলা ধরে। প্রথমবারে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার কলা এবং ১ লক্ষ টাকার চারা বিক্রি করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিজ জমিতে তার বিশাল মেহেরসাগর কলার বাগান। বাগানে রয়েছে সারি সারি কলাগাছ। প্রতিটি গাছেই ঝুলছে কলার ছড়া। প্রতিটি ছড়ায় প্রায় ১৫০-২২০টির মতো কলা। কলার ভারে নুয়ে পড়েছে কলাগাছ। অন্যদিকে সবক’টি কলাগাছের গোড়ায় জন্মেছে নতুন চারাগাছ। সামনের মাস থেকে দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় কলা বিক্রি শুরু হবে।

চাষী আমানে আলম জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে মেহেরসাগর কলার চাষ শুরু করেন তিনি। প্রথম বছরে তিনি কলা ও চারা বিক্রি করে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা আয় করেন। তিনি আশা করছেন, দ্বিতীয়বারেও প্রচুর টাকার কলা ও কলার চারা বিক্রি করতে পারবেন। কলার প্রতিটি ছড়া ৬০০-৮০০ টাকা এবং প্রতিটি চারা ২০-২৫ টাকা বিক্রি করেন। প্রথমবারে উৎপাদন ও পরিচর্যা খরচ কিছু হলেও দ্বিতীয়বার তেমন খরচ হয়নি। কলাগাছের গোড়ায় জন্ম নেয়া চারা থেকেও প্রতিবারেই ফলন পাওয়া যায়। তিনি দাবি করছেন, তার বাগানে উৎপাদিত কলা বিষমুক্ত। কলাগাছে তিনি কোন কীটনাশক প্রয়োগ করেন না।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান জানান, আমানে আলমের বাগানে উৎপাদিত মেহেরসাগর কলা অত্যন্ত মোটা, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। তার কলা বাগান বেকার যুবকদের জন্য একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। কলা চাষ করে তিনি নিজেই লাভবান হয়েছেন ও বেকার যুবকদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, কলা লাভজনক, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। সারাবছরই কলার চাহিদা থাকে। কলা চাষে শ্রম ও ব্যয় কম হয়। ২ থেকে ৩ বছর কলার ভাল ফলন হয়। ১ একর জমিতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার কলা উৎপাদন হয়। কলা চাষে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি প্রয়োগ করলে কীটনাশকের ব্যবহার ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। আমানে আলমের কলা বাগান উপজেলার সর্ববৃহৎ ও লাভজনক কলা বাগান। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমানে আলম কলার চাষ করে লাভবান হয়েছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট