চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আমার মা : প্রতিটি নিঃশ^াসে অস্তিত্বে অনুভবে যিনি সদা বিরাজমান

ডেইজী মউদুদ

৮ মে, ২০১৯ | ১:২৬ পূর্বাহ্ণ

মনে হতো ,একটুকরো হীরক খ- বুঝি আমার চোখের সামনে জ¦লজ¦ল করে জ¦লছে। সৌম্য, সুন্দর, শান্ত, ধীর স্থির নক্ষত্ররাজি যেমন বিশাল আকাশে মিটি মিট করে জ¦লে, ঠিক সে রকমই এক তারকা ছিল আমার মা। তাঁর গুণাগুণ ব্যাখ্যা করে আমি শেষ করতে পারবো না। এত বেশি ইতিবাচক গুণাবলীর অধিকারী যে তিনি ছিলেন তা বর্ণনার ভাষা নাই। দেখতে ছিলেন পরীর মতো সুন্দর, দুধে আলতা রং, রাতুল দুটি ঠোঁট। অত্যন্ত ¯িœগ্ধ এবং মায়াবী মুখশ্রী, কথা বার্তায় চলনে বলনে উজ্জ্বল এক ব্যক্তিত্ব আর উন্নত ও সম্ভ্রান্ত রুচির। রান্না বান্না, আর নাস্তা বানাতে তাঁর সমকক্ষ কেউ ছিল না। রাধতে ভীষণ ভালোবাসতেন, মানুষকে খাইয়ে মজা পেতেন ততোধিক। স্বভাবে চরিত্রে তিনি ছিলেন তুলনাহীন। সামাজিকতা, অতিথিপরায়নতা আর আন্তরিকতায় সেরাদের সেরা ছিলেন।
তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন অনেক বড় পরিবারে। রাউজানের সুলতানপুরের হাসমত আলী চৌধুরী পরিবারে। একটু বলে রাখি, হাসমত আলী চৌধুরী রাউজানের সুলতানপুরের ছিটিয়াপাড়ার একজন স্বনামখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সে আমলে ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করেছিলেন। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনিই রাউজানে প্রথম বিশাল বিলাসবহুল সুরম্য দালান বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। এখনো তাঁর নির্মিত ছিটিয়াপাড়ার হাসমত মঞ্জিলের সে বাড়িটি কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। তাঁর বড় কন্যা মালেকা বেগমের স্বামী চট্টগ্রামের প্রথম পাস করা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক। আর হাসমত আলী চৌধুরীর মেজ কন্যা আনজুমান আরা বেগমের সেজ মেয়ে আমার মা নাজিনা বেগম। ডাক নাম নাজু। খুবই কম বয়সে তাঁর বিয়ে হয় রাউজানের তৎকালীন হাতে গোনা কয়েকজন এম এ পাস করা যুবকের মাঝে অন্যতম তোফায়েল আহমদের সাথে। আমার বাবা তোফায়েল আহমেদ রাউজান স্কুলের ফার্স্ট বয় ছিলেন। কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিক পাস করেছিলেন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ইন্টার পাস করেন। করেন বিএ পাস। উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান কোলকাতায়।
কোলকাতা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে এম এ পাস করেন। আর এই এম এ পাস পাত্র পেয়ে আমার নানা কেবল উচ্চ শিক্ষাকে মূল্য দিয়ে অনিন্দ্য সুন্দরী কিশোরী নাজুকে পাত্রস্থ করেন।
আমার বাবা যেহেতু উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন, তাই তিনি কম বয়সি বধূকে ভীষণ ভালোবেসেছিলেন। অকপট শ্রদ্ধা করতেন। তিনি শিক্ষকতা করেছিলেন ফটিকছড়ি স্কুলে, রাউজান স্কুলে এবং গহিরা স্কুলে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে হেড মাস্টার ছিলেন। পরে তিনি প্রথমে রাউজান কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন, কিছুকাল পরে তিনি গহিরা হাই স্কুলকে কলেজে উন্নীত করে প্রিন্সিপ্যালের দায়িত্ব নেন। এই সময়ে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি চবি ইংরেজি বিভাগে আবার মাস্টার্সে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষ পাস করে দ্বিতীয় বর্ষে পড়া অবস্থায় হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়। তখন আমার বাবার বয়স মাত্র ৪২, আর আমার মায়ের মাত্র ২৭। মা ছিলেন সে সময় সন্তান সম্ভবা। অবুঝ ৪ মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে দিশেহারা। কিছুকাল পরে তাঁর জমজ দুটো কন্যার জন্ম হয়। এক কন্যা মাত্র ২৬ দিন থেকে মারা যায়। আমি তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি। ঘটনাগুলোর সত্যিকারের মর্মার্থ বোঝার বয়স আমার হয়নি। কেবল একটু একটু বুঝছি, কি একটা যেন অঘটন ঘটে গেল।
আমাদের জীবনের গতি বোধ হয় পাল্টে গেল। গহিরা কলেজের কোয়ার্টার থেকে প্রত্যাবর্তন, নানীর বাড়িতে বসবাস। এরপর থেকে শুরু হয় একমাত্র পুত্র ও ৫ কন্যাকে নিয়ে আমার মায়ের কঠিন জীবন সংগাম। কিন্তু এই সংগ্রামের পরেই যে তাঁর জন্য আরো বড় কষ্ট অপেক্ষা করছিল, তা কি কেউ জানতো? আমার বাবা মারা যাওয়ার কিছুকাল পরে একমাত্র অভিভাবক আমার নানা মারা যান। নানার মৃত্যুর অল্পদিনের মাথায় আমার ভাইটির বয়স যখন ৬ কি ৭ বছর, হঠাৎ একদিন আমাদের নতুন পুকুরে ডুবে সেও ছেড়ে যায় আমার মাকে। আমার স্পষ্ট মনে আছে, সেদিনের কথা। আমাদের বাড়ি, আমাদের গ্রাম আমাদের মহল্লায় সেদিন ছিল শোকের মাতম। সবাই কাঁদছে, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, আবাল বৃদ্ধ বণিতার বিলাপ আর কান্নায় সেদিনের বাতাসে ছিল কি একটা হারানোর বেদনা। আর আমার মা সেদিন পাগলপ্রায় যেন এক উন্মদিনী, ক্ষণে ক্ষণে মুর্ছা যাচ্ছিলেন। মাথায় পানি ঢেলে একটু জ্ঞান ফিরলেই আবার আমার ছেলে কই চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। উনার অজ্ঞাতেই ফুলের মতো এমন সুন্দর দেবশিশুকে স্বজনরা কবরে শুইয়ে দিয়ে আসে। আর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই আমার মা এক দৌঁড়ে ছুটে যাচ্ছিলেন কবরস্থানের দিকে। সে এক করুণ ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য।
এভাবে প্রায় বছরখানিক দেখেছি আমার মায়ের শোকবিহ্বল মূর্তির প্রতিচ্ছবি। একটি জ¦লন্ত আগ্নেয়গিরি যেভাবে আস্তে আস্তে শীতল হয়, আমার মাও তেমনি অতি ধীরে, খুবই ধীরে তাঁর এই ইস্পাতকঠিন শোক কাটাতে শুরু করেন। সেখানে বিরাট ভূমিকা রাখেন আমার নানী। তিনি একদিন আমার মাকে ডেকে বলেন, আমি চললাম, তোমার মেয়েদের নিয়ে তুমি কি করবে কর? হয় এদের মানুষ কর, না হয় মেরে ফেল? মায়ের এমন কঠিন সিদ্ধান্ত আমার মাকে দেয় অসীম ধৈর্য্য আর অপরিসীম সাহস। তিনি যেন কোমর বেঁধে নামলেন, ব্রত গ্রহণ করলেন আমাদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করে গড়ে তোলার। নিজে ছিলেন স্বশিক্ষিত, স্বামী ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর, স্বামীর অল্পদিনের সান্নিধ্যে যা তিনি শিখতে পেরেছিলেন, সেটিকে পুঁজি করে নেমে পড়লেন জীবনযুদ্ধে, মহাসংগ্রামে। এরেই মাঝে কলেজে পড়–য়া বড় কন্যাকে উচ্চ শিক্ষিত পাত্র চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষক (ড. শামসুল আলম) এর সাথে বিয়ে দিলেন। প্রত্যন্ত এক গ্রামে বসে আমাদেরকে উচ্চ শিক্ষিত করে গড়ে তোলার স্বপ্নদেখেছেন।
সে সময় আমাদের বাড়ির মেয়েরা প্রাথমিক শিক্ষার পর আর উচ্চ শিক্ষা নিতে পারতেন না। কারণ, হাই স্কুল ছিল অনেক দূরে। কয়েক মাইল পাড়ি দিয়ে পড়তে যাওয়া ছিল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এক ব্যাপার। আর সেই সময়ে আমার মা আমরা তিন বোনকে ভর্তি করালেন রাউজানের তৎকালীন সেরা বিদ্যাপীঠ কু-েশ^রী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। এখানে ভর্তির ব্যাপারে আমার মাকে সহযোগিতা করেন আমাদের হারুণ মামা (আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল হারুণ)। তিনি সত্য সিংহের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের ভর্তির ব্যবস্থা করেন। অবশ্য আমার বাবার সাথে নতুন চন্দ্র সিংহের অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। কু-েশ^রী স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে আমার বাবা ঐ স্কুলে অবৈতনিক শিক্ষক ছিলেন। কাজেই, নতুন চন্দ্র সিংহের পরিবার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আমাদেরকে ফ্রি পড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। আমি কলেজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। স্কুলটি আমাদের বাড়ি থেকে মেলা দূরে। আমরা সদর রাস্তায় গিয়ে স্কুল বাসে চড়ে যেতাম। কিন্তু ১৫ দিন আমাদের বাস ইভনিং শিফট হতো। তখন বাড়ি যেতে যেতে একেবারে সন্ধ্যা হয়ে যেত। আমার মা বোরকা পড়ে হ্যারিকেন হাতে নিয়ে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতেন। আমরা বাস থেকে নামলে তাঁর সাথে বাড়ি ফিরতাম। এরকম অগণিত ঘটনার জলন্ত সাক্ষী আমার মা নাজিনা বেগম যেন জীবনযুদ্ধে জয়ী এক বীর সেনানী। জীবনের সুখ ঐশ^র্য্য বিসর্জন দিয়ে তিনি আমাদের এগিয়ে দিয়েছেন। পদে পদে সাহস যুগিয়ে গেছেন। আমরা বোনেদের যার যে দিকে মেধা সেদিকেই তিনি হাতে কলমে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। আমাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি করান, বড় আপা এম এ বিএড, ছোটবোন লাকি মুহসিন কলেজ থেকে ইন্টার পাস করেন, সেলাই প্রশিক্ষণ নেয় নগরীর প্রখ্যাত সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে, আর লুসিকে বাসায় ওস্তাদ রেখে গান শিখিয়েছিলেন। আজ আমরা বোনেরা সবাই উচ্চ শিক্ষিত হয়েছি কেবল আমার মায়ের ইচ্ছা ও একাগ্রতার কারণে। উনার মেয়েদের ( আমাদের) এক একটা অর্জনে উনার খুশির সীমা থাকতো না। আমি যখন বিশ^বিদ্যালয়ে অনার্সে ভালো রেজাল্ট করি তখন কি খুশি, আমার রেজাল্ট আজাদী পেপারে পেয়ে আমার খালু দৈনিক আজাদী সম্পাদক অধ্যাপক মো. খালেদ আমার মাকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। মিষ্টি নিয়ে দেখতে আসেন। আমার মাস্টার্সে কৃতিত্বপূর্ণ রেজাল্টে আরো খুশি, আমার চাকরিতে যোগদান করা, আমার লেখালেখি, আমার প্রফেশনাল কাজে বার বার বিদেশ সফর সবকিছুতে উনার আনন্দের সীমা ছিল না। এ রকম হাজারো ঘটনায় আমার স্মৃতির ঝাঁপি কানায় কানায় পূর্ণ। আমার আজ এ অবস্থানে আসার পেছনে রয়েছে আমার মায়ের বিশাল অবদান, আমার উপরে উঠার সিঁড়ি, আমার স্বপ্নের ঠিকানার সোপান, সব সময় তিনি উৎসাহ দিয়েছেন। পড়তে সাহস দিয়েছেন, শক্তি দিয়েছেন, দিয়েছেন প্রেরণা। রাতদিন মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে হাত তুলে রাখতেন। দোয়া করতেন। আমার মায়ের সংগ্রামের ইতিহাস, জীবনযুদ্ধের কাহিনী, জীবনের ইতিবাচক দিককে স্বাগত জানানোর তৎপরতা লিখতে গেলে একটি বিরাট গ্রন্থ লিখতে হবে। তার পর ও দু’একটি ঘটনা উল্লেখ করে আমি শেষ করবো।
আমি প্রতি বছর মা দিবসে একটি করে ফিচার লিখতাম। কখনো কখনো আমার মায়ের জীবনকাহিনী লিখে সচিত্র প্রতিবেদন তৈরি করে ছেপেছি।
একবার মা দিবসে চিটাগাং উইমেন চেম্বার হোটেল আগ্রাবাদের ইছামতি হলে একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আমি, আমার মা, আর আমার মেয়ে আমরা তিন প্রজন্ম হাজির ছিলাম সে অনুষ্ঠানে। সেদিনটি ছিল আমাদের জন্য এক মাহেন্দ্রক্ষণ! কি যে ভালো লেগেছিল আমার তা বোঝাতে পারব না। সেদিন দেখেছিলাম আমার মায়ের কি খুশি, কি প্রশান্তি, কি উৎফুল্ল চিত্তে তিনি পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেছিলেন। নিজেকে ভীষণ সম্মানিত বোধ করেছিলেন। তাঁকে আমার মা হিসাবে বেগম রুনু সিদ্দিকী অসম্ভব সম্মান করতেন। একবার রুনু সিদ্দিকী খালাম্মার জন্মদিনে আমি একটি ফুলের তোড়া নিয়ে আমার মা কে সাথে নিয়ে উনার বাসায় যাই, সেদিনও অনেক খুশি ছিলেন আমার মা। দুই বয়োজেষ্ঠার আন্তরিকতা ও হৃদ্যতা দেখে শ্রদ্ধায় আমার মাথা নুয়ে আসছিল সেদিন।
আমি আমার মাকে দেখেছি, আত্মীয়-স্বজনকে তিনি ডাক্তার দেখাতেন, হসপিটালে গিয়ে রোগীদের খাবার খাইয়ে আসতেন। কত আত্মীয়-স্বজনের যে সেবা করেছেন তার শেষ নেই। বিভিন্ন মেলা মজলিসে তিনি যেতেন অত্যন্ত উৎফুল্লচিত্তে। আত্মীয়মহলে ছিলেন অসম্ভব জনপ্রিয়। ভালো পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতেন স্বজনদের। প্রয়োজনে গায়ে গতরে খেটেও সহায়তা দিতেন। মৃত্যুর (২০০৬) আগ মুহূর্তেও ছিলেন সামাজিক কাজে যুক্ত। প্রতিবেশির নতুন বউ নিয়ে ফিরছিলেন ঢাকা থেকে। দুপুরে বউকে বরণও করেন। পরের দিন বউভাতে পরার শাড়িটাও রেডি করে রেখেছিলেন। কিন্তু, পরের দিনটি আর বেঁচে রইলেন না। একটা ম্যাসিভ হার্ট এটার্কে তিনি মুহূর্তেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন। সেই সাথে খসে পড়ে আমার চোখে দেখা মিটি মিট করে জ¦লা নক্ষত্রটি, আমাদের মাথার বিশাল ছাদটি। নিভে যায় আমাদের চেতনার বাতিঘর। নিমেষেই মানুষে মানুষে ভরে যায় আমাদের অঙ্গন, লোকে লোকারণ্য হয়। আমাদের গগণবিদারী আর্তনাদ, স্বজনদের আহাজারি, বিলাপ আর কান্নাকে ছেড়ে ছুঁড়ে রাজমহিষীর মতো তিনি বিদায় নিলেন, চিরবিদায়। বিদায়কালে সবার মুখে মুখে ছিল কেবল একটি কথা ‘এমন মহিয়সি নারী সত্যিই সমাজে বিরল। উল্লেখ্য, আমার মা ২০০৬ সালে আজাদ প্রোডাক্ট ঢাকা থেকে মরণোত্তর মা রত্নগর্ভা সম্মাননা পেয়েছিলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট