চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সৌদি আরবের জাতীয় দিবস

আহমদুল ইসলাম চৌধুরী

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৩:০৩ অপরাহ্ণ

২৩ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের জাতীয় দিবস। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে বাদশাহ আবদুল আজিজ অধীকৃত সমস্ত অঞ্চলকে নিয়ে তাঁর সউদ গোষ্টীর নামকরণে সউদের আরব তথা সৌদি আরব নাম রাখেন। সাথে সাথে রাজতন্ত্র ঘোষণা করেন। ২২ লাখ ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের বিশাল দেশ আজকের সৌদি আরব। জনসংখ্যা ২ কোটির অধিক। আমাদের দেশের বড় সংখ্যক প্রবাসী সৌদি আরবে। বৈধ অবৈধ মিলে কোটির কাছাকাছি। এদেশে অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট যে কোন কাজে-কর্মে বাংলাদেশীদের বিচরণ লক্ষ্য করা যেত। আমাদের অর্থনীতিতে বড় সহায়ক প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ, তৎমধ্যে ১ নাম্বারে সৌদি আরব। সরকার নিয়ম-নীতি সহজ করে উৎসাহ যোগানোয় প্রবাসীরা বৈধভাবে দেশে টাকা প্রেরণ করছে। ৬টি উপসাগরীয় আরব দেশে বৈধ, অবৈধ প্রবাসীরা ঘামঝরা কষ্ট স্বীকার করে অর্থ উপার্জন করে। এ অর্থ দেশে প্রেরিত হয়, ফলে নিজের পরিবারবর্গের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে সহায়ক।
গত মার্চ থেকে করোনা মহামারী সৌদি আরবসহ প্রায় ২ কোটির মত প্রবাসীকে সেই সব দেশে চরম প্রতিকূল অবস্থায় ফেলে দেয়। হয়ে পড়েছে বেকার, দ্বিগুণ বিমান ভাড়া দিয়ে এ পর্যন্ত লাখের কাছাকাছি প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছে। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ প্রবাসী চাকুরীহারা, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। তারা দেশে ফিরে আসতে উদগ্রীব। সহজে বিমান পাওয়া যাচ্ছে না, পেলেও ভাড়া চড়া। বলছিলাম সৌদি আরবের কথা। পবিত্র মক্কা ও পবিত্র মদিনার কারণে আমাদের কাছে সৌদি আরবের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল হেজাজ, পূর্বাঞ্চল নজ্দ বড় বড় দুই অঞ্চল। সাথে সাথে আল কাশিম, আল পাশা, খাইল, হাসা ইত্যাদি ছোট ছোট অঞ্চল নিয়ে আজকের বিশাল সৌদি আরব। বস্তুতঃ পবিত্র মক্কা ও পবিত্র মদিনাকেন্দ্রীক অঞ্চলের প্রাচীন নাম হেজাজ। ১৯৬০ এর দশকেও আমাদের দেশে হেজাজ নাম প্রচলন ছিল। ইতিহাস বিশ্লেষণ করে জানতে পারা যায় চতুর্থ খলিফা আমিরুল মোমেনীন হযরত আলী (ক.) পবিত্র মদিনা থেকে রাজধানী কুফায় স্থানান্তরের পর আজ পর্যন্ত এ দুই পবিত্র নগরী তথা হেজাজ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ অন্য কোন অঞ্চল থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছিল। শুধুমাত্র হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইরসহ সাময়িকভাবে বিক্ষিপ্ত ইতিহাস বাদে। তবে হেজাজের উপ নিয়ন্ত্রক তথা গভর্নর হিসেবে হাশেমী বংশ গুরুত্ব পেয়ে আসছিল। অনুরূপভাবে সৈয়দ শরীফ হোসাইন ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত হেজাজ তথা পবিত্র মক্কায় শেষ শাসক ছিলেন। তিনি ছিলেন তুর্কি সালাতানাতের গভর্নর তথা পাশা। কিন্তু ইস্তাম্বুলের প্রতিকূলতায় নিজেকে নিজে বাদশাহী ঘোষণা করেন।
বস্তুতঃ বাদশাহ আবদুল আজিজ ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে কুয়েত থেকে এসে রিয়াদ দখল করেন। নজদের কেন্দ্রস্থল রিয়াদ। এখানে আবদুল আজিজের পূর্বপুরুষেরা শাসন ক্ষমতায় ছিলেন। তুর্কি সালতানাতের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপে আল রশিদ রিয়াদ দখল করেছিলেন। এতে বাদশাহ আবদুল আজিজের পিতারা কাতার, বাহরাইন হয়ে কুয়েতে এসে বসবাস করতে থাকেন। ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণকারী সাহসী যুবক বাদশাহ আবদুল আজিজ ৪০ জন মতান্তরে ৬০ জন অতি আপন আত্মীয় সহযোদ্ধা নিয়ে কুয়েত থেকে এসে রিয়াদ দখল করেন। সে এক ঘটনাপ্রবাহ। অতঃপর আবদুল আজিজ তুর্কি সুলতানসহ বর্হি শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে রিয়াদকে সতর্কতা নিয়ে সুদৃঢ় অবস্থানে থাকেন। পরবর্তীতে ইস্তাম্বুলস্থ তুর্কি সুলতানের দুর্বলতার সুযোগে আল কাসিম, হাইল, আবাহাসহ আশেপাশের অঞ্চল সমূহ পর্যায়ক্রমে দখলে নিতে শুরু করেন। এতে তাকে সহায়তা করেন তারই উঠতি বয়সী পুত্র যুবক বাদশাহ ফয়সাল। আরও পরে এসে বাদশাহ ফয়সাল তার পিতার দক্ষিণ হস্ত হিসেবে ভূমিকা পালন করতে শুরু করেন। এমনি পরিস্থিতিতে হেজাজের কেন্দ্রস্থল পবিত্র মক্কার তুর্কি গভর্নর পরবর্তী স্বঘোষিত বাদশাহ ছিলেন সৈয়দ শরীফ হোসাইন। বিশাল অঞ্চল অধিকারে নেয়া বাদশাহ আবুদল আজিজের সাথে তিক্ত সর্ম্পকের অজুহাতে তায়েফ থেকে বাদশাহ ফয়সাল তাদের বিশাল বাহিনী নিয়ে পবিত্র মক্কা দখল করেন। এতে বাদশাহ শরীফ হোসাইন ব্রিটিশের সহযোগিতা নিয়ে জেদ্দা হয়ে সাগর পথে ফিলিস্তিনের দিকে চলে যান। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ হতে বিশাল হেজাজ অঞ্চলও বাদশাহ আবদুল আজিজের অন্তর্ভুক্ত হয়।
সে সময় হতে দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর তিনি শক্ত হাতে তার প্রতিষ্ঠিত বিশাল দেশকে শাসন করে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। এতে স্বাভাবিক নিয়মে প্রথম পুত্র হিসেবে সউদ বাদশাহ হন। কিন্তু তিনি বারে বারে অযোগ্যতার প্রমাণ রাখতে থাকায় ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে ফয়সাল বাদশাহের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সৌদি আরবের পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের পক্ষে নেতৃত্ব তথা মুরব্বিয়ানার ভূমিকা রেখে গেছেন। কিন্তু ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে এসে ভ্রাতুষ্পুত্রের গুলিতে নিহত হন। বস্তুতঃ বাদশাহ আবদুল আজিজের মতান্তরে ২২ স্ত্রী। তন্মধ্যে রিয়াদে প্রভাবশালী পরিবার বাদশাহ আবদুল আজিজের সহযোগী সুদাইরী বংশের কন্যা হাসসা রাজ পরিবারেও ছিলেন প্রভাবশালী। মতান্তরে বাদশাহ আবদুল আজিজের নবম স্ত্রী ও হাসসার ঘরে বাদশাহ ফাহাদরা ৭ ভাইসহ ১৩ জন সন্তান সন্ততি জন্ম গ্রহণ করে। এ ঘরের প্রথম পুত্র ফাহাদ। বাদশাহ ফয়সাল নিহত হওয়ার সাথে সাথে সৎ ভাই বাদশাহ খালেদ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন নরম, শান্ত প্রকৃতির। বাদশাহ খালেদ মাত্র ৭ বছর দেশ শাসন করে ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তার আমলে সৌদি আরবের অগ্রগতির সূচনা বলা যাবে। যেমন-জেদ্দা, পবিত্র মদিনা বিমান বন্দর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা, পবিত্র মক্কা-পবিত্র মদিনা মহাসড়ক নির্মাণসহ সারা সৌদি আরবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগাযোগ সহ নানান উন্নয়নের জোয়ার শুরু হয়ে যায়। তার ইন্তেকালের সাথে সাথে যুবরাজ ফাহাদ পূর্ণাঙ্গভাবে বাদশাহ হন। তার আমল সৌদি আরবে নানান দিক দিয়ে স্বর্ণ যুগ। বিশেষ করে হজ্ব, ওমরাহ, যেয়ারতকারীগণের কল্যাণে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি রিয়াদে প্রভাবশালী সুদাইরী বংশের কন্যা হাসসা আল সুদাইরীর প্রথম পুত্র। ফাহাদ ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। ফাহাদরা ৭ ভাই, তাদেরকে সুদাইরী সেভেন বলা হয়।
বাদশাহ ফাহাদ জীবনের শেষ দিকে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে যুবরাজ আবদুল্লাহ বাদশাহের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ফাহাদ ইন্তেকাল করলে আবদুল্লাহ পুরোপুরি বাদশাহ হন। আবদুল্লাহ বাদশাহ হওয়ার পেছনে বাদশাহ ফয়সালের ভূমিকার কথা বিভিন্নভাবে জানতে পারা যায়। যেহেতু বাদশাহ আবদুল্লাহর মা ছিলেন রিয়াদস্থ আল রশিদ বংশের কন্যা। এরা ছিলেন রিয়াদে তুর্কি সুলতানের প্রতিনিধি। তাদেরকে হটিয়ে বাদশাহ আবদুল আজিজ রিয়াদ দখল করেছিলেন। ঐ ঘরেরই সন্তান আবদুল্লাহর মাতা ফাহদা বিনতে আছি আল শুরাইন আল রশিদ রাজবংশের কন্যা। বাদশাহ আবদুল আজিজ মতান্তরে ২২ দাম্পত্য জীবনের মধ্যে কৌশলগত কারণে বিভিন্ন গোত্রপ্রধানের কন্যাগণকে বিবাহ করেছিলেন। তন্মধ্যে বর্তমান বাদশাহ সালমান ইয়ামেনী বংশীয় যুবরাজ মুকারিনকে অপসারণ করেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট রিয়াদে জন্মগ্রহণকারী বাদশাহ আবদুল্লাহ ছোট দুই বোনসহ মাত্র ৬ বছর বয়সে মাকে হারান। রাজ পরিবারে অসহায় হলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে পিতা পরবর্তীতে বাদশাহ ফয়সালের প্রাধান্যতায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তাকে রাজ পরিবারে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার সহায়ক শক্তি হল ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর প্রধান হতে পারা। তিনি এ পদ শক্তভাবে আটকে ধরে ছিলেন। বাদশাহ আবদুল্লাহর রয়েছে দীর্ঘ ৯০ বছরের বর্ণাঢ্য জীবন। তিনি মায়ের দিক দিয়ে বাদশাহ আবদুল আজিজের একমাত্র পুত্র। পিতার পর তিনি অধিক সংখ্যক বিয়ে করেন বলে জানা যায়। তার রয়েছে ৩৫ জন ছেলে মেয়ে। তার আমলেই বাদশাহ ফাহাদের সহোদর ছোট ভাই সুলতান ও নায়েফ যুবরাজ থাকা অবস্থায় পর পর ইন্তেকাল করেন। তিনিও বাদশাহ ফাহাদের মত খাদেমুল হারামাইনিস শরীফাইন টাইটেল বা লকবকে বুকে ধারণ করে নিয়েছিলেন। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি বাদশাহ আবদুল্লাহ ইন্তেকাল করলে সৌদি রাজ পরিবারে প্রভাবশালী সুদাইরী পরিবারের কন্যার কনিষ্ঠ ও ৭ম পুত্র বর্তমান বাদশাহ সালমান বাদশাহী পদ লাভ করেন।
বাদশাহ সালমানের আমলে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইয়ামেনের সাথে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় তার জন্য বড় প্রতিকূলতা। তিনি বাদশাহ হওয়ার সাথে সাথে নিয়ম মতে যুবরাজ হয়েছিলেন পিতার ইয়ামেনী স্ত্রীর পুত্র মুকরিন। বাদশাহ আবদুল আজিজের দিয়ে যাওয়া দিক নির্দেশনার ব্যাখ্যার সুযোগে মুকরিনকে অপসারণ করা হয়। এতে যুবরাজ করা হয় বাদশাহ সালমানের সহোদর ভ্রাতা নায়েফের পুত্র মুহাম্মকে। উপ যুবরাজ মনোনীত করা হয় বর্তমান বাদশাহ সালমানের নিজ পুত্র মুহাম্মদ বিন সালমানকে। শুধু তাই নয় বাদশাহ আবদুল্লাহর একাধিক পুত্রকে তাদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এমন কি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসা মন্ত্রীদের পদেও পরিবর্তন আনা হয়। অপরদিকে বিশ্লেষকেরা মনে করেন যুবরাজ মুকরিন পিতা আবদুল আজিজের ইয়ামেনী স্ত্রীর সন্তান। ইয়ামেনী মেয়ে বারাকা আল ইয়া মানিয়াহ বাদশাহ আবদুল আজিজের ১৮তম স্ত্রী এবং মুকরিন বাদশাহ আবদুল আজিজের ৩৫ তম পুত্র। মুকরিনের স্ত্রী আবতা বিনতে হামাউদ আল রশিদ বংশের কন্যা বলে প্রচার রয়েছে। তা সত্য হলে মায়ের দিক দিয়ে তিনি বাদশাহ আবদুল্লাহর কাছের লোক হন। মুকরিন ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত, সৌদি আরবের একাধিক প্রদেশের গর্ভনরসহ দেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ট ছিলেন। বর্তমান বাদশাহ সালমানের পুত্র সুলতান বিন সালমান সৌদি রাজ পরিবারে ১ম ব্যক্তি, ১ম আরব, ১ম মুসলিম যিনি ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম মহাশূন্যে উড্ডয়ন করেন শাটল ডিসকভারী মহাকাশ যানের মাধ্যমে।
৮৫ বছরের বৃদ্ধ বর্তমান বাদশাহ সালমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে নানান ঝামেলায় আছেন মনে করি। শিয়া অধ্যুষিত ইরানের প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাওয়া, শিয়া ঠেকাতে প্রতিবেশী ইয়ামেনের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া, সম্প্রতি প্রতিবেশী রাজতন্ত্রীয় দেশ কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা, যুক্তরাষ্ট্র কাতারের নিকট অস্ত্র বিক্রি করে দ্বৈতনীতি পরিলক্ষিত হওয়াসহ নানান প্রতিকূলতায় বৃদ্ধ বয়সে বাদশাহ সালমানকে টেনশনে রাখছে। তবে পিতার পক্ষে যাবতীয় কিছু মোকাবেলা করছে তারই পুত্র যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান।
সম্প্রতি নায়েফ বিন আবদুল আজিজের পুত্র যুবরাজ মুহাম্মদকে সরিয়ে বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পুত্র মুহাম্মদ বিন সালমানকে সৌদি আরবের যুবরাজ করা হয়। বস্তুত পবিত্র মক্কা ও পবিত্র মদিনার কারণে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্ব সৌদি আরবকে সম্মানের চোখে দেখে থাকে। বাংলাদেশ কামনা করে সৌদি আরবে সুন্দর পরিবেশ, স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক। বৈধ অবৈধ মিলে সৌদি আরবে কোটির কাছাকাছি বাংলাদেশী নর-নারী নানা পেশায় কর্মরত। বিশাল সৌদি আরবের এমন কোন অফিস, আদালত, দোকানপাট, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ঘরবাড়ি আছে মনে হবে না যেখানে এক বা একাধিক বাংলাদেশী কর্মরত নেই। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর লাখের উপর নর-নারী হজ্ব করতে সৌদি আরব গমন করছে, আরও গমন করছে লাখের কাছাকাছি ওমরার যাত্রী। স্বভাবতই বাংলাদেশ সৌদি আরবের সাথে নিবিড় সম্পর্ক রাখতে চাইবে।
অতএব ২৩ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের জাতীয় দিবসে সে দেশের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট