প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন।
অন্যদিকে, ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৭৭ জন।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের এই তথ্য তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তিনি জানান, পিইসিতে পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা এগিয়ে। ছাত্রদের পাসের হার ৯৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অন্যদিকে ছাত্রীদের পাসের হার ৯৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৫১ জন ও ছাত্রী ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩৭ জন।
এর আগে সকাল ১০টায় শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন।
গত ১৬ থেকে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে সারাদেশে ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৫৭ জন খুদে শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
প্রকাশিত ফলাফল মোবাইল ফোনের খুদেবার্তার মাধ্যমেও জানা যাবে। যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৯ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে প্রাথমিক সমাপনীর ফল জানা যাবে।
আর ইবতেদায়ির ফল পেতে EBT লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৯ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
এই এসএমএস লেখার সময় সরকারি অথবা রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের EMIS কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে; যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট, সংশ্নিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জানা যাবে।
এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকেও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল জানা যাবে।
পূর্বকোণ/পিআর