চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধান শিক্ষকের লালসার শিকার হয়ে অন্তঃসত্বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী

অনলাইন ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ১১:৪৬ অপরাহ্ণ

শিক্ষকের লালসার শিকার হয়ে বরিশালে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ দুই প্রতিবেশী এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছে ওই স্কুলছাত্রী ও তার মা।  অপরিণত বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ওই ছাত্রীর জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিকে, এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম। নির্যাতিতা ওই স্কুলছাত্রী ৪ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। তার মা বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে এবং বাবা সবজি বিক্রি করে।

গত ১০ ডিসেম্বর রাতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভোজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে (১২) শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের বিছানায় প্রসব বেদনায় কাতর শিশুটির চোখে-মুখে শুধুই বিস্ময়ের ছাপ। মানসিক এবং শারীরিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে সে।
শিশুটি জানায়, প্রায় ৯ মাস আগে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে প্রথম ধর্ষণ করে। অপর এক নারী শিক্ষক এই ধর্ষণে সহায়তা করে। এরপর এই খবর স্থানীয়ভাবে লোকমুখে জানাজানি হলে দুই প্রতিবেশী জুয়েল ও রনি ফাঁকা বাসায় ঢুকে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর নির্যাতিতার মা প্রতিবাদ করে বিচার চাইলে তাকেও মারধর করার অভিযোগ ওঠে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

স্কুলছাত্রীটিকে হাসপাতালে গিয়ে স্বেচ্ছায় রক্ত দেওয়া মানবাধিকার কর্মী মো. সুজনসহ হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর বিচার দাবি করেছেন।
শের-ই বাংলা মেডিকেলের প্রসূতি বিভাগ-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মৃদুলা কর জানান, ওই স্কুলছাত্রীর গর্ভের প্রকৃত অবস্থা জানতে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত টাকার অভাবে তার কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেনি তার পরিবার। পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই তার শারীরিক অবস্থা জানা যাবে। তবে অপরিণত বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ওই শিশুর জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

সংবাদ কর্মীদের কাছে এ খবর জানার পরপরই নির্যাতিতাকে দেখতে হাসপাতালে যান বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ওই স্কুলছাত্রীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন। মামলার অভিযোগপত্র থেকে কেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্যদের বাদ দেয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন পুলিশ সুপার।

 

পূর্বকোণ/ এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট