চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রুম্পা হত্যা মামলায় সৈকতের চার দিনের রিমান্ড

অনলাইন ডেস্ক

৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:০৫ অপরাহ্ণ

পুলিশকন্যা রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় রুম্পার সাবেক প্রেমিক আব্দুর রহমান সৈকতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। শনিবার সৈকতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ রবিবার ( ডিসেম্বর) সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে তাকে ঢাকার হাকিম আদালতে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ চার দিন হেফাজতের নির্দেশ দেন।

সৈকতের পক্ষে তার আইনজীবী আবদুল হামিদ ভূইয়া রিমান্ড বাতিলের আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেন বিচারক।

এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনের দুই ভবনের মাঝে রুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদেহ দেখে আশেপাশের লোকজন কেউ চিনতে না পারায়, শনাক্তের জন্য নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়। তার বাবা হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক। বাবা হবিগঞ্জে থাকলেও মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঢাকার শান্তিবাগে থাকতেন রুম্পা।

পারিবারিক সূত্র জানায়, রুম্পা দুটি টিউশনি করে বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে তিনি কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পরা স্যান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরনো স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে বেরিয়ে যান রুম্পা।

রাতে আর বাসায় ফিরে আসেননি। পরিবারের লোকজনসহ স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে খবর পেয়ে রুম্পার মাসহ স্বজনেরা রমনা থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।

পুলিশ বলছে, রুম্পাকে সিদ্ধেশ্বরীর কোনো একটি ভবন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধারণা করা হচ্ছে– রুম্পা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

রুম্পার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে। এ জন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছেন তারা। এমনটি জানিয়েছেন রমনার ওসি মনিরুল। তিনি বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে হত্যা মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বিষয়টি।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট