ভারতের এক খাসিয়া নারী প্রেমের টানে চলে এসেছেন বাংলাদেশে। এরই জেরে আব্দুন নুর (৩৫) নামে বাংলাদেশের এক যুবক ও শতাধিক গরু ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় খাসিয়ারা। সিলেটের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলায় মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। উভয় পাশেই এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি নতুন করে গরু বা মানুষ অপহরণ ঠেকাতে সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারতের এসপিটিলা হেওয়াই বস্তির ৫ সন্তানের জননী চংকর খাসিয়া। ১২ অক্টোবর প্রেমের টানে টিপরাখাল গ্রামের হারিছ উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ মিয়ার হাত ধরে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জৈন্তাপুর সীমান্তের টিপরাখাল ১২৮৮ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলার এলাকায় দু’দেশের পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে দু’দিনের মধ্যে ভারতীয় নারীকে ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু ওই নারী যেতে সম্মত না হওয়ায় পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ১২৮৮ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের ৩ থেকে ৬ নম্বর সাব পিলারের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় হেওয়াই বস্তির খাসিয়ারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে শতাধিক গরুসহ আব্দুন নুরকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-১৯ ব্যাটালিয়নের জৈন্তাপুর ক্যাম্পের জওয়ানরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফাঁড়ির কমান্ডার আব্দুল কাদির জানান, ১২ অক্টোবরের ঘটনার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যস্থতায় খাসিয়াদের সাঙ্গে আলাপ করে দু’দিনের মধ্যে ওই নারীকে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেই। তারা আমাদের কথা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। কিন্তু ফিরোজের পরিবার কথা না রাখায় ভারতীয় খাসিয়ারা উত্তেজিত হয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত রেখা থেকে বেশ কিছু গরুসহ আব্দুন নুরকে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পূর্বকোণ/এম