মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় পৃথক দুটি স্থানে গড়াই নদীতে পড়ে কমলাপুর গ্রামের সাহেদা বেগম (৬৫) ছয়দিন ধরে ও আমলসার গ্রামের দড়িয়াপাড়ার কলেজ ছাত্র অনিরুদ্ধ বিশ্বাস (২৪) চারদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ব্যাপক তল্লাশী করেও অদ্যাবধি তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, উপজেলার আমলসার গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক অচিন্ত বিশ্বাসের পুত্র। সোমবার দুপুরে অনিরুদ্ধ বিশ্বাসসহ তিন বন্ধু একসঙ্গে গড়াই নদী পার হয়ে পাতুড়িয়া গ্রামের আত্মীয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এ সময় নৌকাযোগে গড়াই নদী পার হওয়ার সময় অনিরুদ্ধ বিশ্বাস মাঝ নদীতে হঠাৎ পা ফঁসকে পড়ে ডুবে যায়। এরপর থেকে সে চারদিন ধরে নদীর পানিতে নিখোঁজ রয়েছে।
খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সাভিসের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের চৌকস ডুবুরি দলকে সংবাদ দেয়। সোমবার বিকেলেই ডুবুরি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারপর দুদিন ধরে গড়াই নদীর তীব্র স্রোতকে উপেক্ষা করে নদীর গভীর পানিতে নেমে অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু অনিরুদ্ধকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি।
ডুবুরিদল উদ্ধার অভিযান স্থগিত করলেও পরিবার এবং এলাকার লোকজন অনিরুদ্ধকে খুঁজে পেতে নদীর দুধারে মাইকে প্রচার করছে। এছাড়া ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে নদীর বুকে চারদিন ধরে অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করছে।
অপরদিকে একই উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব মোল্লার স্ত্রী সাহেদা বেগম (৬৫) শনিবার সন্ধ্যা মুহূর্তে পাশের গড়াই নদীতে গোসল করতে গিয়ে নদীর তীব্র স্রোতে ডুবে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ছয়দিন অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি তার কোন খোঁজ মেলেনি। এ দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় এলাকায় চলছে শোকের মাতম।
এ প্রসঙ্গে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহাবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জনান, ‘পৃথক দুটি ঘটনায় তাদের উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী থানাগুলোতে । কোথাও কোন ভাসমান অজ্ঞাত লাশের সন্ধান পেলে ভুক্তভোগী পরিবারকে জানানো হবে।’
পূর্বকোণ-রাশেদ