চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আত্মবিশ^াস নিয়ে খেলার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

স্পোর্টস ডেস্ক

১ মে, ২০১৯ | ২:২৯ পূর্বাহ্ণ

অন্য যেকোনো খেলার চেয়ে ক্রিকেটের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আবেগ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। যা কিনা প্রায়শই ছুঁয়ে যায় সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের পর্যন্ত। যার ব্যতিক্রম নন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তাই তো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের যেকোনো বিদেশ সফর কিংবা বড় মিশনের আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে থাকেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। কুশলাদি বিনিময়ের পাশাপাশি সাহস দেয়া এবং অনুপ্রেরণা যোগিয়ে থাকেন সাগ্রহে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা গণভবনে ছিলেন জাতীয় দলের সদস্যরা। এসময় ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎ পর্বে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে

আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে বিশেষ সুনাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। খেলাধুলার প্রতি তাঁর আগ্রহ বরাবরই প্রশংসনীয়।
সাক্ষাৎকালে মাশরাফিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাস রেখে খেলবে। কোনও তাড়াহুড়োর প্রয়োজন নেই। লম্বা সময় সেখানে থাকতে হবে। মনোযোগ ধরে রাখবে’। সাক্ষাৎ শেষে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও ক্রিকেটাররা একসঙ্গে দুপুরের ভোজন পর্ব শেষ করেন। এরপর বেলা তিনটার দিকে গণভবন থেকে বের হয়ে আসেন ক্রিকেটাররা। এ সাক্ষাতের পর আবেগাপ্লুত দলের প্রধান নির্বাচক ও আয়ারল্যান্ড সফরে ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবেগমাখা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আপা (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সবসময়ই আমাদের বড় অনুপ্রেরণা’। তিনি আরও বলেন, ‘সেই খেলোয়াড়ি জীবন থেকে দেখে আসছি কোনো বিদেশ সফর কিংবা বড় মিশনের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রাণিত করেন, সাহস যোগান এবং দেশমাতৃকার জন্য সামর্থ্যরে সবটুকু ঢেলে দিতে জোর তাগিদও দেন। ১৯ সদস্যের বাংলাদেশ দল আজ আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে। ৫ মে থেকে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে প্রত্যেক দল একে অপরের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। সেখান থেকে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকা দুটি দল খেলবে ফাইনাল। তারপর ৩০ মে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। তার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে টাইগাররা। ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট