চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

দেশকে ভালবেসে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া

৫ ডিসেম্বর, ২০২০ | ১:২৪ অপরাহ্ণ

দেশকে ভালবেসে দেশ ও জাতির প্রতি সেবার মনোভাব নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিজিবির ৯৫তম ব্যাচ রিক্রুট মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, জল, স্থল ও আকাশ পথে দায়িত্ব পালনে সক্ষমতা অর্জন করে বিজিবি এখন ত্রি মাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজম্যান্টের অংশ হিসেবে সীমান্তে নতুন নতুন বিওপি, বিএসপি নির্মাণসহ অত্যাধুনিক সার্ভে ল্যান্স ইকুইপম্যান্ট স্থাপন, এটিভি, এপিসি, ভেহিক্যাল স্ক্যানার ও দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোতে ১৫ হাজার জনবল বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শৃঙ্খলা হচ্ছে সৈনিকদের মূল পরিচিতি। আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনো পিছ পা হয় না, সেই প্রকৃত সৈনিক। সততা, বুদ্ধিমত্তা, নির্ভয়, যোগ্যতা, আনুগত্য, তেজ ও উদ্দীপনা একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাপকাটি। পেশাগত দায়িত্ব পালনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তিনি সৈনিকদের বিজিবি’র মূলনীতির প্রতি গুরুত্বারোপের নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী নবীন সৈনিকদের আরও বলেন, মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা হলো বিজিবি’র মূলনীতি। মূলনীতির প্রতি অবিচল থেকে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে। সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সীমান্ত সু-রক্ষিত রেখে সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে পুরুষদের পাশাপাশি নারী সৈনিকদের নির্ভয়ে সীমান্তে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কর্তব্য পরায়নতার কারণে বিজিবি ইতিমধ্যে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। তাই দেশ ও জাতির প্রয়োজনে বিজিবিকে অবদান রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একই সাথে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী বিজিবি’র ৮১৭জন অকুতোভয় বীর বিশেষ করে শহিদ ৩জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৮জন বীরউত্তম, ৩২জন বীরবিক্রম ও ৭৭জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিতদের স্মরণ করেন। এছাড়াও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ভিডিও টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন বক্তব্য রাখেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট