প্রায় ৯ মাস ধরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কাছে বন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ৫ বাংলাদেশিসহ ২০ জন নাবিক।
ওই বন্দিদের মধ্যে ভারতের কেরালার ২ জন, ৭ জন মহারাষ্ট্রের, ২ জুন তামিল নাড়ুর, একজন করে পুডুচেরি এবং উত্তর প্রদেশের। বাকি সাতজনের মধ্যে ঠিক কত জন বাংলাদেশি তা নিশ্চিত করতে পারেনি। এর মধ্যে আবার মিশরের নাগরিকও আছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বাকি সাতজনের ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওমান থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ২০ নাবিককে আটক করে হুতিরা।
গৃহযুদ্ধ পর্যুদস্ত ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিভিন্ন সময়ে এভাবে বিদেশি নাগরিকদের আটক করে মুক্তিপণ আদায় করে হুতিরা।
জানা গেছে, বাংলাদেশিসহ এই বন্দিদের পাঁচতলা হোটেলের চারটি রুমে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হোয়াটসএপে জানিয়েছেন, ‘আমরা সৌদি আরবের ইয়ানবু বন্দরের দিকে যাচ্ছিলাম। কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য। যাত্রাপথে খবর পাই লোহিত সাগরে একটি জাহাজ ডুবে গেছে।’
‘আমরা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ইয়েমেন কোস্টে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে নোঙর করি। হঠাৎ কয়েক জন কোস্টগার্ড পরিচয় দিয়ে আমাদের সানায় নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি তারা হুতি বিদ্রোহী। ইয়েমেনের জলসীমায় প্রবেশের দায়ে তারা আমাদের গ্রেপ্তারের কথা জানায়।’
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, জাহাজ তিনটির মালিকেরা নাবিকদের ছাড়াতে কোনো চেষ্টা করছেন না। ওমানি মালিকদের থেকে বিদ্রোহীরা ২ লাখ রিয়াল দাবি করেছে। কিন্তু মালিকপক্ষ সেটি দিতে নারাজ। এদিকে মালিকপক্ষ বলছে, বিষয়টি এখন সরকারের হাতে।
ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা চার মাস আগে বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সবাইকে মুক্ত করা হবে। কর্মকর্তারা চেষ্টা করছেন, বন্দিদের সরকার নিয়ন্ত্রিত কোনো জায়গায় এনে রাখতে।
পূর্বকোণ/পিআর