চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

উচ্চফলনশীল নতুন ৩ জাতের আম অবমুক্ত

উচ্চফলনশীল নতুন ৩ জাতের আম অবমুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ নভেম্বর, ২০২০ | ৬:৩১ অপরাহ্ণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (প্রাক্তন আম গবেষণা কেন্দ্র) বিজ্ঞানীদের ১৫ বছরের গবেষণায় উদ্ভাবিত ৩টি নতুন জাতের আম অবমুক্ত করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড সম্প্রতি বারি আম-১৫ (সৌদামিনি),বারি আম-১৬ ও বারি আম-১৭ নামে এই জাতগুলো অবমুক্তের অনুমোদন দিয়েছে।

নতুন ৩টি জাতেরই প্রধান বৈশিষ্ঠ্য আমগুলো নাবি জাতের (মৌসুমের শেষের দিকে ফল পাকে) ও উচ্চফলনশীল (উফশী)। দেশের সর্বত্রই এগুলো চাষ করা যায়। প্রতিটিরই গড় ওজন আধা কেজির উপরে। প্রতি মৌসুমেই নিয়মিত প্রচুর ফল আসে। ফলের মিষ্টি ও স্বাদ চমৎকার। ফল রসালো ও আঁশবিহীন। এছাড়া জাতগুলিতে রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন নেই। যথেষ্ট সংরক্ষণ মেয়াদও রয়েছে।

বারি আম-১৫ (সৌদামিনি)–এর গড় ওজন ৬৮০ গ্রাম। জাতটি উচ্চফলনশীল, নিয়মিত ফল দানকারী ও নাবিজাত। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এটি সংগ্রহ করা যায়। আঁশবিহীন রসাল আমটি পাকলে ফলের ত্বকের রং হলুদাভ সবুজ, শাঁসের রং হলুদ। ৮২ দশমিক ৩৫ ভাগ ভক্ষণযোগ্য অংশের এই আমে তেমন রোগবালাই নেই। দেশের সর্বত্র চাষ করা যাবে।

বারি আম-১৬–এর গড় ওজন ৫৭১ গ্রাম। হালকা কমলা রংয়ের আমটি জুলাই থেকে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়। কমলা রঙের শাঁসযুক্ত আমটি রসাল ও আঁশবিহীন। এই আমও বাংলাদেশের সব স্থানেই চাষ করা যাবে।

দেখতে গোলাকার বারি আম-১৭–এর গড় ওজন ৬৫০ গ্রাম। সংগ্রহকাল জুলাই মাসের শেষ দিক থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। ৮৮ দশমিক ৪৬৭ ভাগ অংশ ভক্ষণযোগ্য এই আমের রোগ ও পোকামাকড় তেমন নেই।

কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জমির উদ্দীন নতুন তিনটি জাতের আম উদ্ভাবনের কাজে দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন। একটি রঙিন জাতের আমের পর এবার একযোগে তিনটি নতুন জাতের আম অবমুক্ত হওয়ায় তিনি উচ্ছ্বসিত।

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট