চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

অর্থপাচারকারীদের পরিচয় জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক

২২ নভেম্বর, ২০২০ | ২:৫২ অপরাহ্ণ

বিদেশে অর্থপাচারকারীদের নাম-ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন সংবাদপত্রে অর্থপাচার সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে রবিবার (২২ নভেম্বর)  বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেয়।

প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে অর্থপাচারকারী সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, ব্যাংক কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “অবৈধভাবে টাকা পাচার করছে কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে, এই খবরগুলো আমাদের কাছে আসছে।”

তিনি বলেন, “বিপুল পরিমাণ অর্থ কানাডা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভন্ন দেশে চলে যাচ্ছে। এর অধিকাংশই হল সরকারি কর্মকর্তা। এই যে টাকাগুলো নিয়ে যাচ্ছে, এদের নামধাম কি, এগুলো আমদের জানা দরকার। কত পরিমাণ টাকা গেল, তারা কিভাবে টাকাটা পাচার করল জানা দরকার।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাজনীতিবিদেরা নন, বিদেশে বেশি অর্থ পাচার করেন সরকারি চাকুরেরা।’ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পাচারের দায় বিদেশি সরকারও এড়াতে পারে না উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যেমন সুইজারল্যান্ডে কে ব্যাংকে টাকা রাখলেন, সেই তথ্য আমাদের দেয় না। তারা ট্রান্সপারেন্সির কথা বলে, কিন্তু যদি বলি কার কার টাকা আছে, সেই তথ্য দাও, তখন তারা দেয় না। এটি একটি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। ’

এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট