চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

এমএলএম প্রতারণা ব্যবসা: ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল এসপিসি

এমএলএম প্রতারণা ব্যবসা: ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল এসপিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ নভেম্বর, ২০২০ | ১১:৪২ অপরাহ্ণ

ই-কমার্স ব্যবসার নামে মাত্র ১০ মাসে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ‘এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস’ নামে একটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি। প্রতারণায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ডেসটিনির মতো ‘পিরামিড’ পদ্ধতিতে লভ্যাংশ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২২ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তারা।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্যানুসন্ধানের পর এই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি বিশেষ দল।

ধৃতরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের এমডি ও সিইও আলামিন প্রধান, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জসিম, ম্যানেজার মো. মানিক মিয়া, ম্যানেজার (প্রোডাকশন) মো. তানভীর আহম্মেদ, সহকারী ম্যানেজার (প্রোডাকশন) মো. পাভেল সরকার ও অফিস সহকারী নাদিম মো. ইয়াসির উল্লাহ।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, ‘এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস’ নামের লাইসেন্সবিহীন কোম্পানিটি ই-কমার্সের নামে অনলাইনভিত্তিক মাল্টিলেভেল মার্কেটিং করে সাধারণ মানুষকে অধিক কমিশনের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন তথ্য পাওয়ার পর গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর কলাবাগান এফ হক টাওয়ারে প্রতিষ্ঠানটির অফিসে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযানের পর কলাবাগান থানায় একটি মামলা হয়। মামলার পর আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে থাকা গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত সোমবার চক্রটির মূলহোতা আলামিন প্রধান ও নির্বাহী কর্মকর্তা জসিমকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি হ্যারিয়ার গাড়ি, দুটি পিকআপভ্যান, সার্ভারে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, রাউটার, দুটি পাসপোর্ট ও কোম্পানির বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

কোম্পানিটির উত্থান ও কার্যক্রম সম্পর্কে হাফিজ আক্তার বলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ই-কমার্সের লাইসেন্স নিয়ে যাত্রা করে তারা। প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও আলামিন প্রধান একসময় ডেসটিনিতে সক্রিয় ছিলেন। ডেসটিনি বন্ধ হলে দীর্ঘদিন গবেষণা করে ডেসটিনির ব্যবসা পদ্ধতি অনুসরণ করে এই অনলাইনভিত্তিক প্রতারণা শুরু করেন তিনি।

১০ মাসে তারা সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগে উচ্চ কমিশনের প্রলোভন দেখিয়ে ২২ লাখ ২৪ হাজার ৬৬৮ জন সদস্যের কাছ থেকে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি বলেন, তাদের ব্যবসা কার্যক্রম অনলাইন এপভিত্তিক হওয়ায় বাংলাদেশের বাইরেও ১৭টি দেশে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীর পাশাপাশি প্রায় পাঁচ লাখ বিদেশি সদস্য রয়েছেন।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট