চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৩০ বছর পর বাবা-ছেলের মিলন

৩০ বছর পর বাবা-ছেলের মিলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

২ নভেম্বর, ২০২০ | ১০:৩৪ অপরাহ্ণ

ভারতের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে (কারাগার) সাজা ভোগের পর দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন ৪২ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে দুই যুবকসহ রয়েছেন বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশু। তারা সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বছরের পর বছর ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ছিলেন।

আজ সোমবার (২ নভেম্বর) বিকালে মৌলভীবাজারের বিয়ানীবাজারের শেওলা সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ও ভারতীয় সীমান্ত পুলিশ তাদের বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ৩০ বছর পর ছেলের সঙ্গে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী বাবার দেখা হলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় সেখানে।

আসামের গোয়াহাটির বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার তানভীর মনসুর রনি ও মৌলভীবাজারের সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় ভারতের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে থাকা এসব বন্দী তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে এসেছেন।

বিয়ানীবাজার বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানায়, দেশে প্রত্যাবর্তনকারীদের পিরোজপুর জেলার চার পরিবারেরই ১৬ জন, বাঘেরহাটের তিনজন, চট্টগ্রামের ছয়জন, মৌলভীবাজার ও সিলেটের সাতজন, দিনাজপুরের একজন, গোপালগঞ্জের একজন, নোয়াখালীর একজন, কুমিল্লার একজনসহ মোট ৪২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছেন। সোমবার বিকাল ৪টায় বিএসএফ ও ভারতীয় সীমান্ত পুলিশ বিয়ানীবাজার বিজিবি, থানা পুলিশ ও শেওলা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশিদের হস্তান্তর করে।

প্রত্যাবর্তনের সময় করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মায়াঙ্ক কুমার, বিয়ানীবাজার থানার ওসি কল্লোল রায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও ভারতের কারাগারে সাজাভোগী বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবর্তন কাজের সমন্বয়কারী সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাস, শেওলা ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম, বিজিবি বড়গ্রাম ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জসিম উদ্দিন, বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নয়ন কুমার মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেওলা চেকপোস্টের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম জানান, ৪২ জন বাংলাদেশি ভারত থেকে সাজা ভোগের পর সোমবার বিকালে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তাদের নিতে আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে স্বজনরা অপেক্ষা করছিলেন। মেডিকেল টেস্টসহ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রত্যাবর্তনকারীদের তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

প্রত্যাবর্তনকারীদের একজন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার মন্তাজ মিয়া (৬৬) ৩০ বছর আগে ভারতে নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন ধরেই নিয়েছিলেন তিনি আর জীবিত নেই। আসামের গোয়াহাটির বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার তানভীর মনসুর রনি ও মৌলভীবাজারের সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাসের তৎপরতায় তার সন্ধান পায় পরিবার। তার ৩১ বৎসরের যুবক ছেলে আমির হোসেন তাকে নিতে শেওলা সীমান্তে আসলে ছেলেকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট