চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সেশনজটমুক্ত শিক্ষাবর্ষের দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ নভেম্বর, ২০২০ | ৬:৫৬ অপরাহ্ণ

আগামী ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং পর্যায়ক্রমে প্রথম ও শেষবার বৃত্তিমূলক পরীক্ষা নেওয়ার নোটিশ জারি করেছে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর। তবে আসছে শীতে দ্বিতীয় ধাপে করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করার শঙ্কায় স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজি নন দেশের মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সেশনজট নিরসন এবং যথাসময়ে কোর্স শেষ করতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পরবর্তী ধাপের ক্লাস অনলাইনে শুরুর দাবিতে রবিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করেছে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। এসময় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি ১২৫টি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধে যোগ দেয়। অবরোধ কর্মসূচির ফলে শাহবাগ মোড়ের চারপাশের রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন হাজারও মানুষ। এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সকাল ১০ টায় মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘুরে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা।

এদিকে, এ মুহুূর্তে পরীক্ষা না নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মেডিকেলসমূহের ডিনসহ সংশ্লিষ্টদের স্মারকলিপি দিলেও কেউ এতে সাড়া দেননি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল এসোসিয়েশনের (বিপিএমডিএসএ) সভাপতি সুরুজ ইসলাম।

সুরুজ ইসলাম বলেন, সম্প্রতি স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক নোটিশে জানানো হয় ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং পর্যায়ক্রম প্রথম ও শেষ বার বৃত্তিমূলক পরীক্ষা। মহামারীকালীন সময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশ যখন করোনাভাইরাসের ২য় ঢেউ প্রতিরোধে নানান কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তখন এমন সিদ্ধান্ত প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য হুমকিস্বরূপ। এ অবস্থায় সেশনজট নিরসন ও যথাসময়ে কোর্স সম্পন্ন করতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পরবর্তী ধাপের ক্লাস অনলাইনে শুরু করা হোক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা পরীক্ষায় বসতে চাই।

শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে মন্তব্য করে আন্দোলনে অংশ নেওয়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ইতিমধ্যেই প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষা সময়মত না হওয়ায় আট মাস পিছিয়ে ভয়ানক এক সেশনজটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এমবিবিএস বা বিডিএস শিক্ষাব্যবস্থা একটি দীর্ঘমেয়াদী কোর্স। উপরন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য আমরা আরও পিছিয়ে যাচ্ছি। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

এছাড়া প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোতে ক্লাস ও হোস্টেল বন্ধ থাকার পরও অতিরিক্ত বেতন পরিশোধের জন্য বিভিন্ন উপায়ে প্রতিনিয়ত চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিএমডিসির নীতিমালা বহির্ভূত এসব কর্মকান্ড সৃষ্টির ফলে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই সরকার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালযের কাছে দাবি, এসব সমস্যা সমাধান করে আমাদের শিক্ষাজীবনকে সেশনজটের হাত থেকে রক্ষা করুন।”

 

পূর্বকোণ/ এম- এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট