চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

শনিবার কমিউনিটি পুলিশিং ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ অক্টোবর, ২০২০ | ৯:২১ অপরাহ্ণ

আগামী শনিবার (৩১ অক্টোবর)দেশব্যাপী ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২০’ ‘উদযাপন করা হবে। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র- কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং আইজিপি পৃথক বাণী দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর)পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

দেশের সব জেলা, মেট্রোপলিটন, রেলওয়ে, হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ইউনিট স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উদযাপন করবে। শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার এবং কমিউনিটি পুলিশিং মেম্বারদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। সব ইউনিট তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে কমিউনিটি পুলিশিং ডে সম্পর্কে প্রচারণা চালাবে।

কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র তাৎপর্য তুলে ধরে সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিশেষ টক শো’র আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।.‘পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ’ এ নীতিতে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও অপরাধ দমনের অন্যতম কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যথাযথ প্রসার ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সবার মধ্যে স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি ও বাস্তব ক্ষেত্রে তা প্রয়োগের ক্ষমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশ ও জনগণকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার যে যাত্রা আমরা শুরু করেছি ইতোমধ্যে, অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সে যাত্রায় সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশও একান্ত সারথী হিসেবে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ সদস্যদেরকে সদা সচেষ্ট থাকতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘দেশব্যাপী কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৮১টি কমিটির মাধ্যমে ১১ লাখ ১৭ হাজার ০৮০ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য পুলিশের সঙ্গে একযোগে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং হাইওয়ে পুলিশেও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে অপরাধ দমনে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আগামীতেও নারী নির্যাতন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তার বাণীতে বলেছেন, কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণ এবং পুলিশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধাবোধ ও সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ যেমন-মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা, ইভটিজিং ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। এছাড়া জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণেও প্রয়োজনীয় আগাম তথ্য দিয়ে কমিউনিটির সদস্য তথা সমাজের মানুষ পুলিশকে সহযোগিতা করতে পারেন। ফলে জনবান্ধব পুলিশিং এর পথ সুগম হওয়ার পাশাপাশি অপরাধ দমনে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন তার বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশিং ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কর্মকৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ উদযাপনের মাধ্যমে জনগণ ও পুলিশের মাঝে আন্তরিকতা, সহযোগিতা, স্বতঃস্ফূর্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা আগামী দিনগুলোতে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) তার বাণীতে উল্লেখ করেছেন, সনাতন অপরাধের পাশাপাশি নিত্য নতুন অপরাধ মোকাবিলায় প্রজ্ঞা ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনে বাংলাদেশ পুলিশে নতুন ধারার যে পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে, জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে পরিচালিত কমিউনিটি পুলিশিং উদ্ভাবনী পুলিশিং এর সে ধারাকে নিঃসন্দেহে আরও ফলপ্রসূ করবে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়ে ওঠা এ স্বাধীন দেশের পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং চর্চার মাধ্যমে জনগণের সহযোগিতায় জনপ্রত্যাশা পূরণ করে ‘জনগণের পুলিশ’ হয়ে উঠবে— মুজিববর্ষের ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ এই আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট