গণতন্ত্রের নীতিমালার মতো সাংবাদিকতারও যেসব নীতিমালা আছে সেগুলো মেনে চললে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আজ রবিবার (২৫ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী।

সম্প্রচার আইন নিয়ে কথা বলা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,হলুদ সাংবাদিকতা না করে মানুষের উন্নয়নের সাংবাদিকতা করুন। সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। সমাজের দর্পণ যেটা হবে সেটা যেন অন্তত মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করে, তারা যেন মানুষের কল্যাণে উদ্বুদ্ধ হয়। তারা যেন মানুষের কল্যাণে কাজ করে।

করোনার দুঃসময়ে দুস্থ সাংবাদিকদের জন্য নেয়া কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, উচ্চমানের সাংবাদিক তৈরি হয় যেন সরকারের গড়ে তোলা ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের হয়রানি থেকে রক্ষা করতে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছে। তার সরকারই দেশকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়েছিল। ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে সবাই এখন বাংলাদেশকে মর্যাদার চোখে দেখে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছিল বলেই করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং দেশকে গতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে

সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, কোথাও কোনো দুর্নীতি বা অনিয়ম হলে পরে আমরা কিন্তু এটা চিন্তা করি না যে এটার সঙ্গে আবার দল জড়িত কি না। আমার অমুক জড়িত কি না। পার্টির বদনাম হবে কি না। সরকারের বদনাম হবে কি না- আমরা কিন্তু সেই চিন্তা কখনও করি না। এটা নিতে গিয়ে হয় এমন অনেক সময় দোষটা আমাদের ওপর চলে আসে। তখন এমন মনে হয়- আওয়ামী লীগ সরকারই যেন দুর্নীতি করছে যা মোটেই তা এমন নয়।

পূর্বকোণ/আরপি