১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বিকেলে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টাবর) এই ঘোষণা দেন নৌযান শ্রমিক নেতারা।
বৃহস্পতিবার খোরাকি ভাতাসহ ১১ দফা দাবিতে নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘট তৃতীয় দিনে গড়ায়। এদিন দুপুরে সচিবালয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, শ্রমিকদের সমস্যা বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, খোরাকি ভাতাই নৌযান শ্রমিকদের মূল দাবি। এটা অবশ্যই তাদের ন্যায্য দাবি যাতে কোনো সন্দেহ নেই। তারা নৌযানের কাজ অনুযায়ী তাদের এই ভাতাটা ন্যায্য।
বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে পণ্য ও তেলবাহী নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার এ ধর্মঘট শুরু করে।
শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবিগুলো ছিল-
১. বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে চাঁদাবাজি-ডাকাতি বন্ধ করা
২. ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান
৩. ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস এবং মালিক কর্তৃক খাদ্যভাতা প্রদান
৪. সব নৌযান শ্রমিকের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ
৫. এনডোর্স, ইনচার্জ, টেকনিক্যাল ভাতা পুনর্নির্ধারণ
৬. কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ
৭. প্রত্যেক নৌশ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান
৮. নদীর নাব্য রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন
৯. মাস্টার/ড্রাইভার পরীক্ষা, সনদ বিতরণ ও নবায়ন, বেআইনি নৌচলাচল বন্ধ করা
১০. নৌপরিবহন অধিদপ্তরে সব ধরনের অনিয়ম ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ এবং
১১. নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
পূর্বকোণ/আরপি