বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে দেশের সমুদ্র উপকূলে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর তাই কক্সবাজারের সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে গত বুধবার (২১ অক্টোবর) ও মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যাওয়া প্রায় দু’শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। তাদের অনেকেই আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ফিরে আসার কথা ছিল।

সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারেক মাহমুদ জানিয়েছেন, হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ, কক্সবাজারের সঙ্গে সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণেসেন্টমার্টিনে আটকা পড়ে আছেন দু’শতাধিক পর্যটক। বিশেষ করে সাগরে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত বলবৎ থাকায় কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী সেন্টমার্টিন যায়নি। টেকনাফ বন্দর থেকে এখনো পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি। তবে সব পর্যটক নিজ নিজ হোটেলে নিরাপদে রয়েছেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিব খান জানিয়েছেন, আবহাওয়া অফিস থেকে বুধবার দুপুরে সমুদ্র উপকূলকে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জাহাজে করে কক্সবাজারে চলে যেতে মাইকিং করা হয়। কিন্তু সংকেত উপেক্ষা করে অনেকেই সেন্টমার্টিন দ্বীপে থেকে যান।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে দ্বীপে আটকেপড়া প্রায় দু’ শতাধিক পর্যটক বিভিন্ন রিসোর্টে রয়েছে। তারা নিরাপদে রয়েছেন। তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সাগরের পরিস্থিতি ভালো হলে তারা নিরাপদে কক্সবাজারে ফিরে যেতে পারবেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, অনেক পর্যটক হুঁশিয়ারি সংকেত উপেক্ষা করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে রয়ে গেছেন। তারা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়ে সে ব্যাপারে সেন্টমার্টিন পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আটকেপড়া পর্যটকদের সাশ্রয়ী মূল্যে থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, সমুদ্রবন্দরকে সাগরে লঘুচাপের কারণে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবারও ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্বকোণ/আরপি