চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চার দফা দাবিতে দুই ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট রবিবার

১৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘট শুরু আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ অক্টোবর, ২০২০ | ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ

‘১৫ দফা দাবি মানতে হবে, নইলে জাহাজ বন্ধ হবে; আমাদের দাবি মেনে নাও, নইলে জাহাজ বুঝে নাও’ শ্লোগানে সোমবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে অভ্যন্তরীণ রুটে পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘট শুরু করেছে নৌ-শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদ। ফলে সারা দেশের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের ১৮টি ঘাটে এবং বর্হিনোঙ্গরে পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এ ধর্মঘট চলমান থাকলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে।

বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিকলীগ, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন সম্মিলিতভাবে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। তাদের ১৫ দফার দাবির মধ্যে রয়েছে নৌশ্রমিকদের খাদ্য ভাতা, স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সরঞ্জাম, নিয়োগপত্র, সার্ভিস বুক ও পরিচয় পত্র প্রদান, মাস্টার/ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধ, জাহাজ সার্ভে রেজিস্ট্রেশনে দুর্নীতি বন্ধ, কোম্পানির খরচে শ্রমিকদের পারাপার ইত্যাদি।

ধর্মঘটের বিষয়ে ঢাকার মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ’র সভাকক্ষে রাত ১১টা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে কোন ফলপ্রসূ আলোচনা না হওয়ায় ধর্মঘট চলমান থাকবে বলে পূর্বকোণকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘গত নভেম্বরেও আমরা আন্দোলন শুরু করার পর সরকার ও মালিকদের পক্ষ থেকে আমাদের বলা হলো- দাবি মানা হবে। কিন্তু তারা ওয়াদা ভঙ্গ করেছে, তাই ধর্মঘটে বাধ্য হয়েছি। এবার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করব না।’

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের জন্য ২০১৫ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছেন তারা। এগুলোর কয়েকটি দাবি পূরণ হলেও অমীমাংসিত ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ২০১৮ সালে শ্রম অধিদপ্তরে আবেদন করেন ফেডারেশন নেতারা। যার অনুলিপি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, নৌযান মালিকদের বিভিন্ন সংগঠনসহ সংশ্নিষ্ট সব দপ্তরে দেয়া হয়। কিন্তু তাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই তাদের সামনে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই বলে জানান শ্রমিক নেতারা।

এদিকে জাহাজ মালিকরা বলেছেন, করোনাকালে পুরো খাতই দিশেহারা। জাহাজ মালিকরা স্বাভাবিক বেতন ভাতা চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। সেখানে এ ধরনের দাবিতে পুরো খাতটিকে জিম্মি করা দুঃখজনক।

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট