বরিশালের বাকেরগঞ্জের বহুল আলোচিত ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে চার শিশুর বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ওই চার শিশু এবং তাদের পরিবারকে কঠোরভাবে নিরাপত্তা দিতে বাকেরগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ রবিবার (১১ অক্টোবর) এ আদেশ দেয় বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
আদালতের নির্দেশে চার শিশু ও তাদের অভিভাবকরা রবিবার সকালে হাইকোর্টে এসে হাজির হন। পরে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নেয়, ভার্চুয়ালি নয়, এজলাশে বসে বিচারকরা তাদের কথা শুনবেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
প্রথমে আদালত চার শিশুকে খাসকমারায় নিয়ে তাদের কথা শোনেন। সকাল ১১টা ৫০ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চার শিশুর কথা শোনেন দুই বিচারক। পরে এজলাসে বসে দুই বিচারক এক এক করে চার শিশুর অভিভাবক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ, বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম, বরিশালের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ ও বোকেরগঞ্জ থানার শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা এস আই বশির উদ্দিন খানের বক্তব্য শোনেন ও তা রেকর্ড করেন।
আইন অনুযায়ী মামলা না নেয়া, শিশুদের গ্রেপ্তার, থানায় শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন না করা ও এখতিয়ার বহির্ভূত আদেশ দেয়ায় সংশ্লিষ্ট হাকিম ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ভৎসনা করে হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গতঃ ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাকেরগঞ্জের ওই চার শিশুকে আসামি করে ৬ অক্টোবর মামলা করা হয়। ১০-১১ বছর বয়সী ওই ৪ শিশুকে সেদিনই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাৎক্ষণিকভাবে ওই চার শিশুর জামিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বরিশালের শিশু আদালতের বিচারককে নির্দেশ দেয়। পাশপাশি চার শিশুকে রাতের মধ্যেই তাদের অভিভবাকের কাছে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
পূর্বকোণ/ এস