বাগেরহাটের শরণখোলায় এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধের পর গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম জোসনা (৩৫) ও অভিযুক্ত স্বামীর নাম সাদ্দাম হোসেন (৩৫)। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) গভীর রাতে সাদ্দাম তার স্ত্রীর লাশ চার টুকরো করে বস্তাবন্দি করে গুম করার সময় পুলিশের হাতে আটক হন। নিহত জোসনা তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার (৭ অক্টেবর) রাতের কোনো এক সময় জেলার উপজেলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির কাছের একটি ভাড়া বাসায় পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। এই ঘটনায় আজ শুক্রবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নিহতের মা জুলেখা বেগম বাদি হয়ে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
শরণখোলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বুধবার রাতের কোনো এক সময় অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলা কেটে পলিথিনে মুড়িয়ে বস্তাবন্দি করে লাশ পরিত্যক্ত ঘরে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সাদ্দাম হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় সাদ্দামের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন এক বছর আগে শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করেন। সাদ্দামের দু’জন স্ত্রী। তিনি ফাঁড়ি এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন। এখানে আসার পর থেকে তারা তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
পূর্বকোণ/আরপি