বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হচ্ছে না। শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ এই ধাপ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে চলমান পরিস্থিতিতে সেই পরীক্ষাও হবে কি-না সেই সংশয়ও রয়ে গেছে। আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির চূড়ান্ত মূল্যায়ন ফল ঘোষণা করা হবে যাতে জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। আশা করছি, সমন্বিত পদ্ধতিতেই সব ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যাবে।

সেই পরীক্ষাগুলো কীভাবে হবে, গুচ্ছ পদ্ধতি কেমন হবে, তখনকার কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এখনও তিন মাস বাকি আছে। তিন মাস পরে সেই মূল্যায়নের জন্য কী পরিস্থিতি হয় তার উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে যাওয়া ‘সমীচীন হবে না’ বলে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কমিটির পূর্ণাঙ্গ পরামর্শ তারা পাবেন বলে আশা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পরীক্ষায় গিয়ে মেধা পুরোপুরি যাচাই হবে সে কথা যদি এখন আমি বলি, আমি কি এখন নিশ্চয়তা দিতে পারি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও সশরীরে দেওয়ার মত পরিস্থিতি হবে? আশা করছি পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো নেওয়া সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলো কী পদ্ধতিতে নেওয়া হবে সেটি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে।

বর্তমানে দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীরা এর মধ্যে ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ হাজার আসনে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।

পূর্বকোণ/আরপি