নোয়াখালীতে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর বিবস্ত্র করে মুখমণ্ডলে লাথিমারাসহ মারধর করা হয়েছে। পরে নির্যাতনের সময় করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

জানা গেছে, ৩২ দিন আগে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার ভিডিও আজ রবিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ফেসবুকে ছড়ানো হয়। এর ফলে তা স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসলে পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন এ ঘটনায় জড়িত বখাটেদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

অভিযোগ রয়েছে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড়খাল এর পাশে দেলোয়ার বাহিনী প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও আবদুর রহিমসহ পাঁচ বখাটে এই ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় রবিবার বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ আবদুর রহিম (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে। পুলিশের পাঁচটি ইউনিট যৌথভাবে বখাটেদের ধরতে অভিযানে নেমেছে।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানায়, খালপাড় এলাকার একটি বাড়িতে ২০-২৫ দিন আগে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই ভিডিও আজ রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত হলে তা ভাইরাল হয়।

ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, নিজের সম্ভ্রম রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু নির্যাতনকারী কয়েকজন বখাটে কিশোর তার পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে সম্ভ্রম রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারী কিশোরদের ‘বাবা’ ডাকেন এবং তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং এক কিশোর একের পর এক তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর তার শরীরে একটা লাঠি দিয়ে মাঝে মাঝেই আঘাত করতে থাকে। এ সময় ঘটনটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চেঁচায় আরেক কিশোর।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, নির্যাতিতাকে আজ তার বাবার বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ থেকে ২০-২৫ দিন আগে এ ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়। এছাড়া ভিডিওতে দৃশ্যমান বখাটেদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের পাঁচটি ইউনিট অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত আবদুর রহিম নামে এক যুবককে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পূর্বকোণ/আরপি