চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

শ্রেণী মূল্যায়নের ভিত্তিতেই যেতে হবে অষ্টম থেকে নবম শ্রেণিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৮:৪৪ অপরাহ্ণ

শিক্ষাবোর্ডগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করবে। মন্ত্রণালয় পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত দিলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করতে চান শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভায় উপস্থিত হয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বোর্ড চেয়ারম্যানরা এই সিদ্ধান্ত নেন।

সভা শেষে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধাপক আব্দুল আলীম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কী কী পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রশ্ন ও উত্তরপত্র প্রস্তুত রয়েছে। সরকার পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিলে আমরা পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আগের মতো এখন পাবলিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক বেঞ্চে একজন বা দুজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। সব শিক্ষাবোর্ডগুলোকে পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউক হক বলেন, জেএসসি পরীক্ষা বাতিল হলেও পরবর্তী ক্লাসে কীভাবে উত্তীর্ণ করা হবে এই ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এটি যাতে কোনো সমস্যা না হয় এজন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা হবে। সেটি অনুসরণ করে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে।

তিনি বলেন, গত মার্চ মাস পর্যন্ত স্কুলগুলোতে ক্লাস হয়েছে। সংসদ টিভিতে পড়ালেখা ও অনলাইন ক্লাসের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে। নভেম্বরে স্কুল খোলা সম্ভব হলে একভাবে, আর ক্লাস করানো সম্ভব না হলে সেখানে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হবে। এজন্য কিছু সময় লাগবে। যতটুকু পড়ানো হবে তার ওপর মূল্যায়ন করা হবে।

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, যদি নভেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয়, তাহলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তোলা হলেও পরবর্তী ক্লাসের সিলেবাসের সঙ্গে বাদ পড়া অতি প্রয়োজনীয় নবম শ্রেণির জন্য কিছু বিষয় যুক্ত করা হবে। তবে সেটি বাড়তি চাপ তৈরি করা হবে না।

মূল্যায়ন কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূল্যায়ন ‘ফেস টু ফেস’ করা সম্ভব হলে সেটা এক রকম আর তা সম্ভব না হলে যতটুকু ক্লাস করা হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে হবে। এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি নিশ্চিত করতে পারছি না, তবে পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অটো প্রমোশন না দিয়ে মূল্যায়নের ভিত্তিতে সবকিছু হবে।

তিনি জানান, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ, ৭ম স্তরের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীতের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে নির্দেশনা দেয়া হবে।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট