চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণাকে আমলে নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ

শিবুকান্তি দাশ, ঢাকা অফিস

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৪:৫৫ অপরাহ্ণ

মাঠের বিরোধীদল বিএনপি দ্রুত সাংগঠনিক কাযক্রমে ফিরে সরকার পতনের আন্দোলনের হুশিয়ারি করলেও তা আমলে নিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গত কয়েকদিনে বিএনপির নেতারা আবারও সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করার কথা বলে দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি আহবান জানান। তারা করোনার ধকল কাঠিয়ে দ্রুত মাঠের রাজনীতিতে ফিরে আসার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে। এজন্য আপাতত আসন্ন পৌরসভা, উপজেলা ও সংসদের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে নেতাকর্মীদেরকে চাঙ্গা করার কৌশল নিচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন- বিএনপির আন্দোলনের কথা এখন আর জনগণ বিশ্বাস করে না। তারা ঈদের পরে আন্দোলনে নামবে বলে ঘোষণা দিলেও জনগণ অনেক ঈদ পার করেও আন্দোলনের দেখা পাচ্ছে না। বিএনপির আন্দোলনকে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনার কারণে দীর্ঘ পাঁচ মাস দলীয় সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখে বিএনপি। গত শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বার ) দলের স্থায়ী কমিটির সভায় দীর্ঘ পাঁচ মাস পর দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রবিবার রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম, সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী এখনো বিরাজমান। এসময় বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় কার্যক্রমের অগ্রগতির জন্য সাংগঠনিক কার্যক্রম, সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশব্যাপী দলের নেতাকর্মীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি মেনে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত গত ২৩ মার্চ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সব সাংগঠনিক কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর পাঁচ দফায় তা বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

দলের স্থায়ী কমিটি এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থায়ী কমিটির এ বৈঠকে স্থানীয় সরকারের যেসব উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসীল ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোতে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ও উপজেলা ইউনিটগুলোর সুপারিশ কৃত প্রার্থীদের মনোনয়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

এদিকে বিএনপির আন্দোলনের কথাকে আমলে না নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক আর তর্জন-গর্জনই শুধু শোনা যায়, কিন্তু বর্ষণ দেখা যায় না, যাবেও না। তিনি গতকাল রবিবার সকালে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি, বিআরটিএ আয়োজিত বিশেষ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকার হটানোর ঘোষণা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা কর্মসূচি আর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে থাকে। তাদের হাঁকডাক অনেক শুনেছে জনগণ। তিনি বলেন, তারা আন্দোলন করে দলীয় অফিসের সামনে নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাথা ফাটায়।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট