এবার খোলাবাজারের পাশাপাশি অনলাইনেও পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি। পেঁয়াজের অস্থির বাজার সুস্থির করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত ও সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানান।
গত বছরের মত এবারও ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় দেশে লাগামহীন হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। এর পরপরই একদিনের ব্যবধানেই দ্বিগুণ বেড়ে যায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম। ফলে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে একজন ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ ২ কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবি’র মাধ্যমে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।
টিপু মুনশি বলেন, বছরে ১০ থেকে ১২ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ টিসিবি আমদানি করে না। এবার আমরা আগে থেকেই ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন আনার চিন্তা করছিলাম। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় টিসিবির মাধ্যমেই আমরা এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করার কথা ভাবছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবির জনবল সঙ্কট রয়েছে। এ কারণে বিক্রিতে জটিলতা দেখা দেয়। তাই ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে পেঁয়াজ বিক্রি করব। প্রতি মাসে অন্তত ১০ থেকে ১২ হাজার টন পেঁয়াজ ই-কমার্সের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করতে পারব বলে আমরা খুব আশাবাদী।
মন্ত্রী আরও বলেন, গতবারের অভিজ্ঞতা এবার আমাদের খুব কাজে লাগছে। বাজার সহনীয় করতে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজ গত বছরের মতো জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। টিসিবির নিয়ম ভেঙে কিছু নতুন ডিলার নিয়োগ দেয়া হবে। পাশাপাশি গতবার যেমন করে ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছিল এবারও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।
পূর্বকোণ/আরপি