১০ লাখ ৪০ হাজার অতিদরিদ্র নারীকে ৩০ কেজি করে আগামী ২০২১-২২ সালে দুই বছর মেয়াদে চাল দেবে সরকার। এই কর্মসূচি ‘ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) হিসেবে বাস্তবায়ন করা হবে। এসব নারীরা ভিজিডি’র মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতাকে সফলভাবে অতিক্রম করে চরম দারিদ্রতার স্তর থেকে বের হয়ে আসার সক্ষমতা অর্জন করেছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ‘ভিজিডি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির’ সভায় এ কথা বলেন।

সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায়ে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ইআরডি, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা সময়ে সকল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান আছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের খাদ্য পুষ্টি ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বড় সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অসহায় ও দুঃস্থ নারীদের মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ অর্থ দেয়া হয়েছে। ২০০১-০২ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত ভিজিডি’র মোট ৭১ লাখ ৪০ হাজার জন উপকারভোগীর রয়েছেন।

ফজিলাতুন নেসা আরো বলেন, অনেক মানুষ করোনা মহামারির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই সময়ে প্রকৃত দুঃস্থ ও অসহায় নারী ভিজিডিতে অন্তর্ভুক্ত হবার সব শর্ত পূরণকারীদের নির্বাচন করতে হবে। শতভাগ নিরপেক্ষতার সাথে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটিগুলোকে ভিজিডি উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে ভিজিডি বাছাই প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্বকোণ/আরপি