চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৫শ ফুটের উপরে উড়ালে ড্রোনের অনুমতি লাগবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৬:১৪ অপরাহ্ণ

পাঁচ কেজির কম ওজনের ড্রোন বিনোদন বা খেলার জন্য ওড়াতে কোনো অনুমতি নিতে হবে না। এ বিধান রেখে মন্ত্রিসভা ‘ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা- ২০২০’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে।

আজ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এ ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ড্রোন কি সবাই তার ইচ্ছামত পরিচালনা করতে পারবে নাকি এগুলোর জন্য কোনো রেগুলেশন প্রয়োজন আছে কি-না তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল। এটা নিয়ে ৭/৮ মাস থেকে আলোচনা এবং মিটিং করে সবার মতামত নিয়ে চারটা শ্রেণি করে দেয়া হয়েছে।

‘ক’ শ্রেণি: বিনোদনের বা খেলনা হিসাবে ব্যবহারের জন্য এই শ্রেণি করা হয়েছে। অবশ্যই এর ওজন পাঁচ কেজির কম হতে হবে। পাঁচ কেজির বেশি হলে এটা আর বিনোদনের মধ্যে পড়বে না।

‘খ’ শ্রেণি: পাঁচ কেজির বেশি ওজনের ড্রোন অবাণিজ্যিক এই শ্রেণিতে বিভিন্ন কাজের জন্য ওড়ানো যাবে। তবে সেক্ষেত্রে কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য থাকতে পারবে না।

উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অনেকে (ড্রোন ব্যবহার করে) বিভিন্ন জিনিস দেখেন (পর্যবেক্ষণ করেন)। যেমন- বনের সার্ভে, গবেষণা বা বই লেখার মতো নিজের কাজের জন্য।

‘গ’ শ্রেণি: বাণিজ্যিক কাজের জন্য এই শ্রেণিতে পাঁচ কেজির বেশি ওজনের ড্রোন ওড়ানো যাবে। কোথাও সার্ভে করবে জমিজমা বা ফসলের ওপরে, কোনো প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি করবে। আনারসের জেলি করার জন্য ইন্ডাস্ট্রি করতে চান, সে হয়তো পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা সার্ভে করতে পারে কি পরিমাণ প্রোডাকশন আসতে পারে, কারা চুক্তিতে ফার্মার হতে পারে, এসব বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য।

‘ঘ’ শ্রেণি: রাষ্ট্রীয় বা সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য এই শ্রেণি। রাষ্ট্রীয় কাজ, যেমন পদ্মা সেতুতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। …আমরা গত চার বছর থেকেই ড্রোন ব্যবহার করছি। ড্রোন দিয়ে সার্ভে করে যা যা দরকার করছি। মাতারবাড়িতে ড্রেজিং করতে হবে। বড় শিপ আসতে পারবে না। যেমন মহেশখালীতে কিছু করল। এগুলোর জন্য মডার্ন টেকনোলজি হল ড্রোন। এগুলোর জন্য বা আর্মির যে ড্রোন সেটা ‘ঘ’ শ্রেণিভুক্ত। এসব কাজে ব্যবহারের জন্য অনুমতি লাগবে না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিনোদন বা খেলার জন্য ও সামরিক বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহারের জন্য অনুমতি লাগবে না। আর সিভিল এভিয়েশন কোন ক্ষেত্রে, কার থেকে ড্রোন ওড়াতে অনুমতি নিতে হবে তা নির্দিষ্ট করে দেবে।

ড্রোন কোথায় ওড়ানো যাবে বা যাবে না- সেই প্রশ্নে আনোয়ারুল বলেন, গ্রিন, রেড এবং ইয়োলো জোন করে দেয়া হয়েছে। খেলনা বা বিনোদনের জন্য ৫০০ ফুটের বেশি ওপরে যেতে পারবে না। বাকিগুলোকে অনুমতি নিতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, রেড জোনে যেমন- বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে ড্রোন ওড়ানো সাধারণের জন্য পুরোপুরি নিষিদ্ধ। একইভাবে পদ্মাসেতু ও ‘কি পয়েন্ট ইন্সটেলশন’ বা কেপিআইয়ের ভেতরে ড্রোন ওড়ানো যাবে না। এসব এলাকায় ড্রোন ওড়াতে শুধু সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি নেয়ার পাশাপাশি কেপিআই অথরিটির কাছ থেকেও অনুমতি নিতে হবে। যেমন- আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা পদ্মার ওপর একটা ডকুমেন্টারি করলে সিভিল এভিয়েশন ও কেপিআই অথরিটি থেকে অনুমতি নিতে হবে।

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট