রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে প্লেনের পাশাপাশি সিটগুলোতে যাত্রীরা বসতে পারবেন। এছাড়া করোনার সংক্রমণ রোধে যাত্রীদের ফেসগার্ড পরতে হবে। একইসাথে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস থাকবে। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগে এক সিট পরপর যাত্রী বসতে হতো। এখন থেকে পাশাপাশি সিটগুলোতে যাত্রীরা বসতে পারবেন। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি প্লেনের শেষ দুটি সারির সিটগুলো খালি রাখতে হবে। ফ্লাইটে ফেসগার্ড ব্যবহার করতে হবে। এটি দেখতে অনেকটা ফেসশিল্ডের মতো। আগের মতো এয়ারলাইন্সগুলোকেই যাত্রীদের হ্যান্ড গ্লোভস, মাস্ক এবং ফেসশিল্ড সরবরাহ করতে হবে।

গত ২১ থেকে ৩১ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে এবং অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বেবিচক। অপর এক আদেশে চীন বাদে সব দেশের সঙ্গে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে, ৩০ মে এবং ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৬ জুন থেকে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে লন্ডন ও কাতার রুটে ফ্লাইট চলাচল করার অনুমতি দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য দেশের ফ্লাইটগুলো চালু করা হচ্ছে।

পূর্বকোণ/আরপি