চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

এক বছরে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ০.৮০ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১:৩৫ অপরাহ্ণ

আজ ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে বাংলাদেশকে নিরক্ষরমুক্ত করতে হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কভিড-১৯ সংকট : সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা।’ গত এক বছরে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ০.৮০ শতাংশ। ২০১৯ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ৭৩.৯০ শতাংশ। বর্তমানে তা ৭৪.৭০ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী পূর্বকোণকে বলেন, স্বাক্ষর করতে পারা মানে শিক্ষিত নয়। শিক্ষাবিদরা তাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে সুচিন্তা করার ক্ষমতা তৈরি করে দিতে পারেন। মানবিকতা না থাকলে কোন শিক্ষাই জ্ঞানে রূপান্তরিত হবে না। মানবিকতা বলতে এখানে আমরা বুঝি অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান সৃজন করার প্রতিষ্ঠান। তবে মূল কাজ হচ্ছে গবেষণালব্ধ নতুন জ্ঞানের সন্ধান করা। কারণ শুধু পঠন-পাঠন শিক্ষা হতে পারেনা। করোনাকালে শিক্ষার মানবিক গুণাবলীসমূহ সাধারণের মাঝে উজ্জীবিত করতে পারেন শিক্ষাবিদরা। মানুষ যাতে মনোবল না হারায়। আতঙ্ক না ছড়িয়ে ইতিবাচকভাবে সচেতনতা সৃষ্টিতে এই সময়ে শিক্ষাবিদরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। করোনা মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ ও নির্দেশনাসমূহ সাধারণ মানুষের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। যাতে মানুষ সহজেই তা বুঝতে পারে।
১৯৬৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তেহানে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন দেশের শিক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ১৯৬৬ সাল থেকে দেশে দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সাক্ষরতা বিস্তারে আন্তর্জাতিক ফোরামের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।

স্বাক্ষর ও সাক্ষরতার সংজ্ঞায় নানা পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে সাক্ষরতার পরিধি শুধু মাতৃভাষা চর্চা ও হিসাব-নিকাশ আয়ত্ত্ব করার মধ্যে সীমিত নেই। কম্পিউটার সাক্ষরতা, সাংস্কৃতিক সাক্ষরতার মতো বিভিন্ন নাগরিক প্রসঙ্গ; সর্বোপরি উন্নত জীবনের জন্য অপরিহার্য মানসম্মত দক্ষতা অর্জন, দেশাত্মবোধ, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ তৈরির সোপান হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।

বাংলাদেশে সবার জন্য শিক্ষা এবং নিরক্ষরতা দূরীকরণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা ২টি পৃথক মন্ত্রণালয় রয়েছে। তার অধীনে অধিদপ্তর, দপ্তর, ১ লাখ ৬০ হাজার ৩১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, মাদ্রাসা, হাইস্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক রয়েছে ১৮ লাখ ৪০ হাজার ১৮০ জন। প্রতিবছর বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ করা হয় নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, মেরামত, শিক্ষকমণ্ডলীর বেতন, বিনামূল্যে বই বিতরণ ইত্যাদির জন্য।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট