চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সামরিক অভিধান থেকে ‘মার্শাল ল’ বাদ দেয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

সামরিক অভিধান থেকে ‘মার্শাল ল’ বাদ দেয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১১:৫৯ অপরাহ্ণ

‘মার্শাল ল’ রক্তপাত ছাড়া দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। তাই ‘সামরিক অভিধান’ থেকে আমাদের ‘মার্শাল ল’ শব্দটি বাদ দেয়া উচিত। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল আর্মড ফোর্সেস সিলেকশন বোর্ড মিটিং ২০২০-এ এ কথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন আমলের ১৯টি ক্যুর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের আমলে সশস্ত্র বাহিনীর এত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা ও সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে। এত বিপুলসংখ্যক যে যুদ্ধেও এত সৈন্য নিহত হয়নি। আমরা (সশস্ত্র বাহিনীতে) আর কোনো ছেলেহারা পিতা বা পিতাহারা ছেলের কান্না শুনতে চাই না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর একের পর এক ক্যুর কারণে সশস্ত্র বাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব ক্যুর নামে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্যকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়। সেনা ও বিমানবাহিনীতে সবচেয়ে বেশি রক্তপাত হয় এবং আমাদেরকে বহু স্বামীহারা বিধবা ও পুত্রহারা মা–বাবার কান্না শুনতে হয়েছে।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আমাদের পরিবারের সম্মানিত সদস্য। তারা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এই বাহিনীকে আরও আধুনিক ও সময়োপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য এবং এই লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সরকার দেশের সুরক্ষা ও কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে আরও সুসজ্জিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট