চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মাদকের বিচারে ট্রাইবুনাল থাকছে না

মাদকের বিচারে ট্রাইবুনাল থাকছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ আগস্ট, ২০২০ | ৭:০৩ অপরাহ্ণ

মাদক মামলার বিচারে ট্রাইবুনাল গঠনের বিধান বাদ দিয়ে তৈরি সংশোধিত আইনের খসড়ায় সম্মতি প্রকাশ করেছে সরকার। আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সবিস্তারে সাংবাদিকদের জানান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা আছে, গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করবে সরকার। একইসাথে প্রতিটি ট্রাইব্যুনালে অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বিচারক নিয়োগ করা হবে। কোনো জেলায় অতিরিক্ত জেলা জজ না থাকলে ওই জেলায় দায়রা জজ নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করবেন। আর ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত না হওয়ায় পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তি করবেন। তবে প্রশাসনিক কারণে অদ্যাবধি মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন বা জেলা বা দায়রা জজকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এই ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অসংখ্য মাদক অপরাধ সংক্রান্ত মামলা হলেও তা বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে, মামলার সংখ্যাও বাড়ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব এই প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, মাদকদ্রব্যের সব অপরাধ ২০১৮ সালের আইনে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার করার কথা বলা ছিল। শুধুমাত্র টাইব্যুনালের মাধ্যমে মামলা করতে গেলে লম্বা সময় নেয়, ডিসপোজাল হতে এবং আপিলের ক্ষেত্রে কমপ্লিকেসি হয়, সেজন্য আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে। সামারি ট্রায়াল করা যায় কিনা সে ব্যাপারে সংশোধন আনা হলেও সিআরপিসি ২৬০ ধারা অনুযায়ী সামারি ট্রায়ালের অথরিটি শুধুমাত্র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে দেয়া যায়। সেক্ষেত্রে মাদকদ্রব্য আইনে অনেকগুলো মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সেগুলোতে এখানে স্পেশাল জজ বা জেলা জজদের আনা যাবে না।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, এসব কারণে দুইটা ভাগ করে এটা ট্রাইব্যুনালের পরিপ্রেক্ষিতে এখতিয়াভুক্ত আদালত করার প্রস্তাব করা হয়েছে যাতে জেলা জজ বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যে অপরাধগুলো সাত বছর পর্যন্ত সাজা হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেগুলো প্রথম শ্রেণির বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দিয়ে উনারা ট্রায়াল করলে সেক্ষেত্রে লোড কমে আসবে। অনেক মামলা কুইকলি ডিসপোজাল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন বা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ট্রায়াল করে সাত বছরের নিচে যেগুলোর সাজা সেগুলো ২৯০ দিনের মধ্যে মামলা শেষ করে দিতে পারবেন।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট