চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় রয়েছে খালেদা জিয়ারও: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ আগস্ট, ২০২০ | ৮:৪৮ অপরাহ্ণ

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় বেগম খালেদা জিয়ারও রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম জিয়া দেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রীর নিরাপত্তা বিধান করতে পারেননি, সেই দায় তিনি এড়াতে পারেন না, তার জ্ঞাতসারেই এটা হয়েছে। আজ শনিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে’ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী এসময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে শহীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ও তাদের আত্মার শান্তিকামনা করেন।

১৬ বছর আগে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পাহারায় বাধা দিয়ে, গ্রেনেড হামলা করে নিহত-আহতদের উদ্ধারে ও চিকিৎসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কথা স্মরণ করে সেই হামলায় আহত সাক্ষী হিসেবে ড. হাছান বলেন, এই গ্রেনেড হামলা শুধু বাংলাদেশের নয় পৃথিবীর ইতিহাসেই একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। সমসাময়িক বিশ্বে আর কোথায় সংসদের বিরোধী দলের নেতা যেখানে বক্তব্য রাখছেন, সেখানে এরকম গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে?- প্রশ্ন রাখেন তিনি।

‘হত্যা-খুনই বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মসনদে আরোহণ করেন, ক্ষমতা নিষ্কন্ঠক রাখতে সেনাবাহিনীর শতশত জওয়ানকে হত্যা করেন। বেগম জিয়াও একইপথ অনুসরণ করেন। বিএনপি আমলে শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টার, মমতাজ উদ্দীন, মঞ্জুরুল ইমামকে জনসভার মধ্যে হামলা করে হত্যা করা হয়েছে। শেখ হেলাল, সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের ওপর হামলা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ক্ষমতা ধরে রাখার প্রয়াসে এবং খায়েশে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এইসব হামলা পরিচালিত হয়।

এইসব কারণেই কানাডার আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে রায় দিয়েছে, অর্থাৎ আন্তর্জাতিকভাবেও বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল হিসেবে স্বীকৃত, জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, গতকাল বিএনপি নেতারা অনেকে অনেক কথা বলেছেন। সেগুলো সবই ‘ঠাকুর ঘরে কে রে! আমি কলা খাই না’এ ধরনের কথা। তাদের উচিত এই ঘৃণ্য হামলার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তাহলে হয়তো জনবিচ্ছিন্ন বিএনপিকে আবার জনগণ কাছে নিলেও নিতে পারে।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফী, স্বাধীনতা পরিষদ সভাপতি জিন্নাত আলী জিন্নাহ প্রমুখ।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট