চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জেকেজির সাবরিনা-আরিফুলসহ ৮ আসামি আদালতে

জেকেজির সাবরিনা-আরিফুলসহ ৮ আসামি আদালতে

অনলাইন ডেস্ক

২০ আগস্ট, ২০২০ | ১:১৮ অপরাহ্ণ

করোনা পরীক্ষা না করিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে আদালত তোলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য আছে।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সকালে তাদের আদালতে আনা হয়। এরপর বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার মট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে তোলা হয়। এরপর বেলা ১২টার দিকে আদালত মামলার শুনানি দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মুলতবি করেন।

গত ১৩ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারী প্রত্যেক আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

এর আগে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে সেদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

গত ৫ আগস্ট ভুয়া করোনার রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি)।

অভিযোগে বলা হয়, করোনা জালিয়াতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন জেকেজির সাবরিনা ও তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরী। এ দুজন ছাড়াও মামলার অন্য ছয় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা। মামলা থেকে মামুনুর রশীদ নামের আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মামলা করার ৪২ দিনের মাথায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্মচারী হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ। পরের দিন ২৪ জুন হুমায়ুন কবির ও তানজিনা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে হুমায়ুন কবীর জেকেজি হেলথ কেয়ারে চাকরি করার সময় কীভাবে করোনার নমুনা সংগ্রহ এবং ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেছেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন। হুমায়ুন কবির জবানবন্দিতে বলেন, করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করে ড্রেনে ফেলে দিতেন। এ ছাড়া শফিকুল ইসলামও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট