রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ভারত হয়ে সিঙ্গাপুরে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন। র্যাবের দায়িত্বশীল একটি সূত্র মারফত এ তথ্য জানা গেছে।
র্যাব গতকাল শুক্রবার সাহেদের দুই সহযোগীকে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা সাহেদকে পালানোয় সহযোগিতা করেছিলেন বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গিয়াসউদ্দিন জালাল (৬১) ও মো. মাহমুদুল হাসান (৪০)।
৬ জুলাই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পরদিন স্ত্রীকে ফোন করে এই পরিকল্পনার কথা জানান বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে সাহেদের স্ত্রী সাদিয়া আরবীর গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ৬ জুলাইয়ের পর স্বামীর সঙ্গে তাঁর আর কথা হয়নি। এখন প্রশ্ন উঠছে, র্যাব সাহেদের পাসপোর্ট জব্দ করার পরও তিনি কীভাবে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন?
আটক গিয়াসউদ্দিন রিজেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজের ভায়রা। রিজেন্টে অভিযান হলে সাহেদ নরসিংদীতে পালিয়ে এই গিয়াসউদ্দিনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারপর দুজন মিলে মহেশখালীতে যান। যে গাড়িতে করে সাহেদ পালিয়েছিলেন, সেটি চালাচ্ছিলেন মাহমুদ।
এক প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ বলেন, মহেশখালীতে সাহেদ করিম প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের ঠিকাদারি পেয়েছিলেন। প্রায়ই সেখানে যেতেন। একই গাড়িতে করে তিনি মহেশখালী থেকে ঢাকায় ফেরেন। ঢাকা থেকে আরিচা পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতরা সাহেদের সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৬ জুলাই করোনার নমুনা সংগ্রহের পর ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া ও সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে টাকা আদায়ের অভিযোগে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তারও ৯ দিন পর সাতক্ষীরা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পূর্বকোণ / আরআর