চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

সাবরিনাকে আদালতে, ফের রিমান্ড চাওয়া হতে পারে

অনলাইন ডেস্ক

১৭ জুলাই, ২০২০ | ২:০৫ অপরাহ্ণ

করোনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ডা. সাবরিনার তিনদিনের রিমোন্ডের মেয়াদ শেষে আদালতে নেয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৭ জুলাই) ১২ টার দিকে ফের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হয়েছে।

সাবরিনাকে ফের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর রহমানের আদালতে দুপুরে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।

তেজগাঁও থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ মিয়া জানান, ডা. সাবরিনাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে খবর পেয়েছি। তবে রিমান্ড আবেদনের কোনো কপি এখনও হাতে পাইনি। তাই কয়দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে তা বলতে পারছি না।

তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, সাবরিনার নতুন করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক। জেকেজির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে সাবরিনা আছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়।

গত ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরদিন ১৩ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। সাবরিনার রিমান্ড চলাকালেই গত ১৫ জুলাই কারাগারে থাকা তার স্বামী আরিফুলকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে জেকেজির অপকর্ম সম্পর্কে তাদের দু’জনকে রিমান্ডে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থানা হাজতে থাকা অবস্থায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী ভাঙচুর ও হামলা করে থানায়। মারধর করে পুলিশকে।

এছাড়া রাজধানীর মহাখালীর তিতুমীর কলেজে নমুনা সংগ্রহের বুথ বসিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণের নামে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও পাওয়া যায়। কলেজের কক্ষে নারী-পুরুষের আপত্তিকর অবস্থানসহ নানা অনৈতিক কাজে বাধা দিলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রদের ওপরও হামলা করে আরিফুলের লোকজন।

অভিযোগ পাওয়া যায়, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্নজনকে হুমকি দিতেন আরিফ। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালককেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট