দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যায় এখন পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সচিবালয় থেকে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় এখন পর্যন্ত দুর্গত হয়েছে ১৮টি জেলার ৯২ উপজেলার ৫৩৫টি ইউনিয়ন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২২ লাখ ২৬ হাজার ৪৭২ মানুষ। এছাড়া বন্যাজনিত কারণে জামালপুরে চারজন এবং লালমনিরহাট, সুনামগগঞ্জ, সিলেট ও টাঙ্গাইলে একজন করে মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এনামুর বলেন, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১২ জেলায় এক হাজার ৫৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে ২০ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ও ৫৬ হাজার ৩১টি গবাদিপশু আশ্রয় পেয়েছে। ৫৯৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হলেও এর মধ্যে ১৯৭টি টিম কাজ করছে। আশ্রয়কেন্দ্রে কাজ করছেন আনসার, গ্রাম পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক ও এনজিও প্রতিনিধিরা।
করোনা মহামারির মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে আর এই খবার তৈরি ও বিতরণের কাজে সহায়তা করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরে এনামুর বলেন, নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, যেসব নদীন পানি বাড়ছে সেগুলোর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমতে শুরু করবে বলে পূর্বাভাস থাকার দরুণ আমরা আশা করছি এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে। গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালাপুর, নাটোর ও নওগাঁ জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে আগামী এক দিনে সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ী ও ঢাকা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
পূর্বকোণ/আরপি