‘কোভিড-১৯ পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা এবং রোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার’ কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাতেন জানান, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের বেশ কিছু মেশিনপত্র র্যাবের অভিযানের আগেই সরিয়ে ফেলার কথাও বলেছেন।”
সেসব মেশিন দিয়ে কী করা হত, সেগুলো এখন কোথায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়েও সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানিয়ে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “তাকে রিমান্ড আনা হয়েছে, দেখা যাক জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বলেন।”
চার মাস আগে বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পরপরেই রিজেন্ট হাসপাতালকে ‘কোভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতালে হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি দেয় সরকার।
কিন্তু করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের প্রমাণ পাওয়ার পর র্যাব গত ৬ থেকে ৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা বন্ধ করে দেয়।
অভিযানের পর ৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় প্রতারণার অভিযোগে সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাব। সাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তার ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়।
অভিযানের পর থেকে পলাতক সাহেদ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তে র্যাবের হাতে ধরা পড়েন। সাহেদ ও মাসুদকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
পূর্বকোণ/পিআর