সম্প্রতি বেশ কিছু বাংলা বানান রীতিতে পরিবর্তন আসায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলা একাডেমি। বিশেষ করে ‘গরু’ বানান ‘গরু’ না ‘গোরু’ হবে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা চলছেই। এরই প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলা একাডেমি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বানান-বিষয়ক চলমান বিতর্ক নিরসনে বাংলা একাডেমি তাদের অবস্থান জানিয়েছে। একই সঙ্গে অচিরেই চলমান এ বানান-বিতর্কের অবসান ঘটবে বলে প্রত্যাশা করেছে একাডেমি। বাংলা একাডেমি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে বানান-বিতর্কের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে। প্রকাশের পর থেকেই একটি অভিধান পুরনো হয়ে যায় এবং তখন থেকেই শুরু হয় এর পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের কাজ। এরই ধারাবাহিকতায় অভিধানটির প্রথম পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশিত হয় এপ্রিল ২০১৬ সালে। বর্তমানেও এ অভিধানটির সংস্করণের কাজ চলমান। এ কাজ করতে গিয়ে বেশকিছু ভুলত্রুটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’
‘সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে চলমান বানান বিতর্কে যে বিকল্প বানানের কথা বলা হচ্ছে তা ইতোমধ্যে ‘আধুনিক বাংলা অভিধান’-এর পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণে সংযোজিত হয়েছে। এ ছাড়াও বহুল ব্যবহৃত শব্দের বিকল্প বানানও এ সংস্করণে যোগ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দৈনন্দিন ব্যবহারে থাকলেও এখন পর্যন্ত অভিধানে স্থান পায়নি এমন কিছু নতুন শব্দও সংযোজিত হয়েছে। ‘আধুনিক বাংলা অভিধান’-এর এ সংস্করণটি অচিরেই বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হবে এবং চলমান বানান-বিতর্কের অবসান ঘটবে-এমনটাই প্রত্যাশা।’
পূর্বকোণ/এএ