চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা

৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ জুলাই, ২০২০ | ১১:০৫ অপরাহ্ণ

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই দিনটিকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণায় সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের সব জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব দিয়েছে।

এ কারণে মন্ত্রিসভা বিস্তারিত আলোচনার পর ৭ মার্চকে বিশেষ দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নতুন করে প্রস্তাব আনতে বলেছে। আজ সোমবার (১৩ জুলাই) করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। এই ভার্চুয়াল সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

আনোয়ারুল বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিতে অন্তুর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব করেছিল। চলতি বছরের শুরুতে হাইকোর্ট এক আদেশে ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল। একইসাথে প্রতি উপজেলায় জাতির জনকের মুর‌্যাল নির্মাণের আদেশও দিয়েছিল।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৭ মার্চ একটি ঐতিহাসিক দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কো তাদের মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এসব বিষয়ে আলোচনার পর মন্ত্রিসভা ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। ৭ই মার্চ ও স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে সরকার। তাই মন্ত্রিসভা আলাদাভাবে বঙ্গবন্ধুর কোনো মুর‌্যাল করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করে। কারণ ওই প্রোগ্রামের মধ্যেই অনেক কিছু আছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, হাইকোর্টকে এ জিনিসটি অবহিত করা হবে। পুরো যে প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হচ্ছে হাইকোর্ট সম্ভবত সে বিষয়ে অবহিত না। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এখন হাইকোর্টে বিষয়টি উপস্থাপন করবে।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট