বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় পানিবন্দি হয়ে পড়া লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি নিরসনে সরকারের কোনো তৎপরতা নেই। করোনাভাইরাসের অভিঘাতে বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে ধেয়ে আসা বন্যার কবলে পড়ে এখন চরম ভোগান্তি জনজীবনে। মানুষ অবিরাম বর্ষণে মানুষের বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় গৃহপালিত গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষদের বাঁচাতে দলের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়ে রিজভী বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় সম্পূর্ণরূপে নির্বিকার সরকার। উপদ্রুত মানুষের সাহায্যে কোনো তৎপরতা নেই।লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায় পানিবন্দি। ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের শত শত কিলোমিটার সড়ক বিপর্যস্ত হয়ে ক্ষতি হয়েছে কয়েকশ কোটি টাকার। চাঁদপুর শহরও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন বিপদজ্জক অবস্থায়; ফরিদপুরসহ মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধায় হু হু করে বন্যার পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণ হিসেবে ভারতের গজলডোবায় সবকটি গেট খুলে দেয়া এবং বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া উল্লেখ করেন বিএনপি’র এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
পূর্বকোণ/আরপি