চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

টাপেন্টাডলকে মাদক ঘোষণা করে গেজেট জারি

টাপেন্টাডলকে মাদক ঘোষণা করে গেজেট জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ জুলাই, ২০২০ | ৮:২৬ অপরাহ্ণ

এবার `মাদকদ্রব্যের’ তালিকায় যুক্ত হলো টাপেন্টাডল। ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত জাতীয় ওষুধকে মাদকদ্রব্য হিসেবে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফশিলে যুক্ত করে ৮ জুলাই গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। মাদকসেবীরা ওই জাতীয় ওষুধকে মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করায় এই ঘোষণা দেয় সরকার।

গেজেটে বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রস্তাবমতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারা অনুযায়ী ওই আইনে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে টাপেন্টাডলকে তফসিভুক্ত করা হল।

বিভিন্ন ধরনের মাদককে ধরন ও ব্যাপকতার উপর ভিত্তিতে ‘ক’, ‘খ’ এবং ‘গ’ শ্রেণিতে ভাগ করে সেগুলোকে সময়ে সময়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফসিলভুক্ত করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারায় বলা আছে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারি করে তফশিল সংশোধন করে কোনো মাদকদ্রব্যের নাম অন্তর্ভুক্ত বা বাদ দিতে পারবে সরকার।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, এ আইনের তফসিলে উল্লেখিত কোনো দ্রব্য বা মাদকদ্রব্যের সাথে অন্য যে কোনো দ্রব্য একীভূত, মিশ্রিত কিংবা দ্রবীভূত থাকলে সেসব দ্রব্যকেও মাদকদ্রব্য হিসেবে গণ্য করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, টাপেন্টাডলকে মাদকদ্রব্য হিসেবে ঘোষণা করায় এসব ট্যাবলেট উৎপাদন না করতে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে কিছু কোম্পানি এই ট্যাবলেটের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি বিভিন্ন নামে এই ট্যাবলেট উৎপাদন করে। কোম্পানিভেদে একেকটি ট্যাবলেটের দাম ১২ টাকা থেকে ১৭ টাকা। দাম কম হওয়ায় ও সহজে পাওয়া যায় বলে এ ধরনের ব্যথানাশক ট্যাবলেট নেশার সামগ্রী হিসেবে ব্যবহারের খবর সংবাদ মাধ্যমে গত দুই-তিন বছর ধরেই আসছিল।

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট