অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত পলাতক রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদকে খুঁজছে র্যাব। তবে দেশ ছেড়ে পালানোর তার কোনো সুযোগ নেই। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে মামলা করা হবে। এক সংবাদ সম্মেলনে আজ বুধবার (৮ জুলাই) র্যাব কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম এসব কথা জানান।
সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, গতকাল রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। র্যাবের একাধিক টিম পলাতক শাহেদকে ধরতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে। শাহেদ যাতে কোনো অবস্থায় দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তার জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম সাহেদ করিম হলেও মো. শাহেদ নামে পরিচয় দিতেন। বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অপকর্ম করে থানা পুলিশ এবং জেলও খেটেছেন তিনি। এভাবেই তিনি গড়েছেন টাকার পাহাড়ও।
র্যাবের এই গোয়েন্দা প্রধান বলেন, তার অপকর্মকে ঢাকার চেষ্টা করার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সঙ্গে ছবি তুলে ও আরও অপকর্ম করার সুযোগ খুঁজতেন। নিজেকে কখনো সেনাকর্মকর্তা, কখনো মেজর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল, কর্নেল এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নামও ব্যবহার করতেন। আমরা তাকে আটক করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে আশা করছি জনগণের সঙ্গে সে প্রতারণা করেছে। জনগণই তাকে র্যাবের হাতে তুলে দিবে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে ৪ হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া রিপোর্ট পজিটিভ-নেগেটিভ দিয়েছেন। এছাড়াও মোট ১০ হাজার রোগীর করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রিজেন্ট হাসপাতাল। যার মধ্যে মাত্র ৪ হাজার ২৬৪টি নমুনা সরকারিভাবে টেস্ট করে রিপোর্ট দেয়। কারও জ্বর থাকলে তাকে পজিটিভ আর জ্বর না থাকলে নেগেটিভ রিপোর্ট প্রদান করার মাধ্যমে কৌশল গ্রহণ করে রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পূর্বকোণ/আরপি