চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

মাছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ দিলে ৭ বছরের জেল

অনলাইন ডেস্ক

৮ জুলাই, ২০২০ | ৪:১৬ অপরাহ্ণ

মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে রপ্তানি করলে বা অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রি করলে সাত বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করতে যাচ্ছে সরকার।

আজ বুধবার (৮ জুলাই) সংসদে এই বিধানসহ ‘মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) বিল- ২০২০’ উত্থাপন করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বিলটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রেতাদের পণ্যের গুণগত ও প্রক্রিয়াগত মানসম্পর্কিত চাহিদা, রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বহুমুখিতা এবং আন্তর্জাতিক আজারের বিস্তৃতি ও প্রতিযোগিতা ইত্যাদি মোকাবিলায় বিদ্যমান অধ্যাদেশের সীমবদ্ধতা দূরীকরণে করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

প্রস্তাবিত বিলটি পরীক্ষা করে ৩০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

নিরাপদ মাছের উৎপাদন নিশ্চিত করতে মৎস্য খামারিদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধানও প্রস্তাবিত আইনে রাখা হয়েছে। তাছাড়া, খসড়া এ আইনে মৎস্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ‘সকল প্রকার কোমল ও কঠিন অস্থি বিশিষ্ট মৎস্য, সাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজপ্রাণী, কচ্ছপ, কুমির,কাঁকড়া জাতীয় প্রাণী, শামুক, ঝিনুক, ব্যাঙ এবং এসব জলজপ্রাণীর জীবন্ত কোষকে মৎস্য হিসেবে গণ্য করা হবে’।

প্রস্তাবিত আইনে মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে ভেজাল, অপদ্রব্যের মিশ্রণ ও অনুপ্রবেশ করানো এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সাথে কেউ মৎস্য পণ্যে ভেজাল দিলে বা খামারে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করলে সর্বনিম্ন দুই বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ আট লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালের আইনটির পরিবর্তে নতুন আইন প্রণয়নের জন্য বিলটি করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে সামরিক শাসনামলের আইনগুলোকে নতুন করে বাংলায় করা হচ্ছে। বিলটি পাস হলে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় তাজা মাছ প্রক্রিয়া করতে হবে। পচা, দূষিত, ভেজাল ও অপদ্রব্য মিশ্রিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বাজারজাত করা যাবে না।

এছাড়া, এ আইন অমান্য করলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক বা পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা কোনও ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রশাসনিক জরিমানা করতে পারবেন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট