করোনার নমুনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন। সোমবার (২৯ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফি নির্ধারণের ফলে সাধারণ মানুষ পরীক্ষা করাতে উৎসাহ হারাবে।

বিবৃতিতে মহামারিকালে মানুষের দিশেহারা অবস্থা তুলে ধরে শাহাদাত বলেন, করোনার নমুনা পরীক্ষায় সরকার ফি নির্ধারণ করায় এখন মানুষ পরীক্ষা করানো থেকে বিরত হবে। এতে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর কাজটি ‘অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে’।

নগর বিএনপি’র সভাপতি আরও বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে তার নমুনা পরীক্ষা ফ্রি করানো উচিৎ। বেশি পরীক্ষা হলে পরিস্থিতি বেশি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর পরীক্ষা কম হলে করোনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এন্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে বেশি সংখ্যক মানুষকে নমুনা পরীক্ষার আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

ডা. শাহাদাত বলেন, এই ফি নির্ধারণ করে সরকার ‘ব্যবসায়ীর ভূমিকায়’ অবতীর্ণ হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে চট্টগ্রামে অক্সিজেন সিলিন্ডার, পালস অক্সিমিটার, হাই-ফ্লো-অক্সিজেন ন্যাজল ক্যানুলা, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, সি প্যাপ মেশিন কেনা এবং চিকিৎসকদের প্রণোদনা বাবদ অতিসত্বর ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার আজ পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি। এতে সমগ্র চট্টগ্রামবাসী হতাশ হয়েছে। বরাদ্দ না দিয়ে চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত চার মাস ধরে বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন জনপ্রতি ২০০ টাকা ফি নির্ধারণে করেছে।

পূর্বকোণ/আরপি