চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আকাশপথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ ছয়গুণ বাড়াতে বিল উত্থাপন
আকাশপথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ ছয়গুণ বাড়াতে বিল উত্থাপন

আকাশ পথে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ৬ গুণ বাড়িয়ে সংসদে বিল

অনলাইন ডেস্ক

২৩ জুন, ২০২০ | ৫:২৪ অপরাহ্ণ

আকাশপথে পরিবহনের সময় কোনো দুর্ঘটনার জন্য বর্তমানে প্রচলিত আইনে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ খুবই কম এবং তা আদায়ের পদ্ধতি অস্পষ্ট, সময়সাপেক্ষ ও জটিল। তাই দুর্ঘটনায় যাত্রী আহত বা নিহত হলে এবং ব্যাগেজ নষ্ট বা হারিয়ে গেলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ছয় গুণ বাড়িয়ে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া সংসদে উত্থাপন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিয়ল কনভেনশন) বিল-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করেন। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে এ বিলে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

তখন মন্ত্রিপিরষদ সচিব বলেছিলেন, আগে আকাশপথে পরিবহনের সময় যাত্রীর মৃত্যু বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে ক্ষতিপূরণ ছিল ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা। প্রস্তাবিত এ আইনে ক্ষতিপূরণ ১ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সংসদে উত্থাপিত বিলটি ১ মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, আকাশপথে পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে এবং ব্যাগেজ নষ্ট বা হারানোর ক্ষেত্রে ওয়ারশ কনভেনশন-১৯২৯ এর আলোকে দেশে বর্তমানে প্রচলিত ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার এক্ট-১৯৩৪’, ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার (ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন) এক্ট-১৯৬৬’ এবং ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার (সাপ্লিমেন্টারি কনভেনশন) এক্ট-১৯৬৮ বলবৎ আছে।

এই তিনটি আইনের আলোকে প্রাণহানি, আঘাত ও ব্যাগেজ নষ্ট বা হারানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ছিল কম। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ১৯৯৯ সালে মন্ট্রিয়ল কনভেনশন গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ ওই কনভেনশনে ১৯৯৯ সালেই স্বাক্ষর করে।

নতুন উত্থাপিত বিল প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আকাশপথে পরিবহনের সময় কোন ক্ষয়ক্ষতি হলে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ খুবই কম হওয়ায় এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আকাশে চলাচলকারী যাত্রীর অধিকার সুরক্ষা ও মালামাল পরিবহন নিশ্চিত করা, যাত্রীর মৃত্যুর কারণে পরিবারের ক্ষতিপূরণ প্রায় ৬ গুণ বৃদ্ধি এবং আদায় পদ্ধতি সহজ করতেই এই আইনটি প্রয়োজন।’

নতুন এ আইনটি কার্যকর হলে ফ্লাইট বিলম্বের কারণে পরিবহনকারীর দায় ২০ ডলারের পরিবর্তে ৫ হাজার ৭৩৪ ডলার, ব্যাগেজ নষ্ট বা হারানোর জন্য প্রতি কেজিতে ২০ ডলারের পরিবর্তে ১ হাজার ৩৮১ ডলার এবং কার্গো বিমানের মালামাল নষ্ট বা হারানোর জন্য প্রতি কেজিতে ২০ ডলারের পরিবর্তে ২৪ ডলার ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট